১। দারুচিনি:
ওজন কমাতে দারুচিনি বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। নিয়মিত দারুচিনি খেলে ক্ষুধা কমে যায়। শরীরের জমে থাকা মেদ গলাতে সাহায্য করে। এটি শরীরের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ করে, তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। এছাড়াও পেটের রোগ, ইনফ্লুয়েঞ্জা, টায়ফয়েড, টিবি ও ক্যান্সার প্রতিরোধে দারুচিনি অনন্য ভূমিকা রাখে।
২। এলাচ:
এলাচে রয়েছে নানা রকম রাসায়নিক উপাদান। যেমন: টর্পিন, টপিনিনোল, সিনিওল, এসিটেট, টপিনিল ইত্যাদি। এইসব উপাদান শরীরের ফ্যাটবার্ন করার ক্ষমতা বাড়ায়। ফলে শরীরে ফ্যাট জমে না।
৩। আদা:
আদা শুধু সর্দি-কাশিতেই উপকারি না, এর রয়েছে অনেক গুণ। পেট পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে আদা রাখতে পারে বিশেষ ভূমিকা। এটি পাচনতন্ত্রে জমে থাকা খাবার পরিষ্কার করে দেয় ফলে ফ্যাট জমতে পারে না। ফ্যাট না জমলে তো ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবেই। আর গবেষণায় দেখা গেছে, ডায়াবেটিস সমস্যাতেও আদা খুবি কার্যকরী। এছাড়া আদার রস শরীরের জমে থাকা চর্বি দূর করতে সহায়তা করে।
৪। হলুদ:
হলুদের বিশেষ গুণ এই যে, এটি ফ্যাট টিস্যু তৈরি হতে দেয় না। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৫। মরিচ:
মরিচে রয়েছে অ্যাকজেলিক এসিড, কিউনিক এসিড, অ্যামিনো এসিড, এস্কার্বিক এসিড, সাক্সিনিক এসিড, শিকিমিক এসিড, ফোলিক এসিড, সাইট্রিক এসিড, ম্যালিক এসিড, মেলানিক এসিড, আল্ফা-এমিরন, ক্যান্সিডিনা, ক্যারোটিন্স, ক্রিপ্টোক্যানসিন, ফ্ল্যাভনয়েডস প্রভৃতি। এগুলো ওজন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। আর মরিচের ক্যাপসিসিন ক্ষুধাও নিয়ন্ত্রণ করে। গবেষণায় দেখা গেছে মরিচ মেটাবলিজম বাড়িয়ে বেশি ক্যালরি বার্ন করতে সহায়তা করে।
৬। মৌরি:
মৌরি পাচনতন্ত্রের উপকার করে, খিদে কমায়। আর এটি লিভারেরও উপকার করে। মৌরি মাউথ ফ্রেশনার হিসেবেও কাজ করে।
৭। ইসবগোল:
ইসবগোল পেট পরিষ্কার রাখে, হজম শক্তি বাড়ায়। আর ক্ষুধা অনুভব কমায়। প্রতি রাতে শোয়ার আগে ইসবগোল খেলে ওজন কমবে। কোন কোন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ প্রতিবেলা খাবারের ১০ মিনিট পূর্বে তিন চামচ ইসবগোল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
৮। জিরা:
বদহজম, পেট ফোলা এবং খাবারে অরুচি সমস্যায় জিরা খুবই উপকারি। পাইলস সমস্যায় মিছরির সাথে জিরা মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। নিয়মিত জিরা খেলে ওজন কমে। বেশি খাবার খাওয়ার অস্বস্তি থেকেও জিরাপানি মুক্তি দেয়।