ভাগ্যদেবী বুঝি সহায় হলেন! টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচ বৃষ্টির বাগড়ায় থেমে গেছে। দুপুর থেকেই আকাশে প্রচণ্ড বৃষ্টি। মাঠের বেশ কিছু জায়গায় জল জমে গেছে। পিচ এবং বোলিং রান আপ চাদর দিয়ে ঢাকা রয়েছে। পাশাপাশি আউটফিল্ড অনেক পিচ্ছিল। টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হবে কিনা তা নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি যদি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় তবে কত ওভারের হবে সেটাও দেখার বিষয়।
শেষ পর্যন্ত ইডেনের ম্যাচটি ভেস্তে গেলো। তবে নিয়মরক্ষার এই ম্যাচে সিরিজ জিততে না পারলেও ভারতের জন্য সুখবরই বটে। তা না হলে ৩২ বছরের লজ্জায় ডুবতে হত ভারতকে। নিজেদের মাঠে সবসময় দাবিয়ে বেড়ায় ভারত। শেষমেশ, বৃষ্টির কারণে ভেস্তে যাওয়া ম্যাচে ভারত রেহাই পেল ৩২ বছরের লজ্জার আশঙ্কা থেকে।
ক্রিকেট জগতে রঙ ছড়ানো ভারত ২-০ তে সিরিজ হারল দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে। নিজেদের মাঠে ৩২ বছর পর হোয়াইটওয়াশ হতে যাওয়ার আশঙ্কায় ছিল ভারত। ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ জয়ের পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে নাকানিচুবানি খেতে হয়েছিল ভারতকে। এটিই ছিল ভারতের নিজের মাটিতে প্রথম ও একমাত্র ধবল ধোলাইয়ের লজ্জা। এরপর ১৯৮৭ সালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে ছয়টি ওয়ানডের সিরিজে কেবল একটি ম্যাচ জিতে লজ্জা থেকে কোনভাবে রেহাই পায়। এর আগে ১৯৮৪-৮৫ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া ভারতকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে গিয়েছিল। যদিও ৫ ম্যাচের সেই সিরিজে দুটি ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিল বলে সেইবারও ভাগ্যদেবীর সহায় বেঁচে যায় ভারত।
এরপর সেই ভারতকে নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলি। এরপরে বীরের বেশে ভারতকে বিশ্বকাপ এনে দেয়া অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি দাপটের সহিত এগিয়ে নিয়ে গেছেন দলকে। ২৮ বছর পর দেশকে আরও একবার বিশ্বকাপ উপহার দেয়া মহানায়ক তিনি। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৯২ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারত। সেই সাথে ভারতীয় দর্শকদের উগ্র কাণ্ড পুরো ম্যাচটিকে কলঙ্কিত করেছে।