এইমাত্র পাওয়া

  • কাপ জিতেই ছাড়ব, জন্মদিনে শপথ মেসির
  • প্রাথমিকে ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জুলাইয়ে, থাকছে ৬০% নারী কোটা
  • ঝালকাঠিতে সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ধ্রুবতারা’র দোয়া ও ইফতার অনুষ্ঠান
  • ঝিনাইদহে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সেমিনার
  • দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে
  • ফাঁটা পায়ের যত্নে কিছু পরামর্শ !!
  • ডায়াবেটিস রোগীরা কি রোজা রাখতে পারবে?
  • ওজন কমাবে কালো জিরা
  • হলুদ দাঁতের সমস্যা সমাধান করুন নিমিষেই
  • কিশিমিশের পানি খেলে যে উপকার পাবেন
Updated

খবর লাইভ

অনূর্ধ্ব ১৩ দলের ফুটবলার এখন চায়ের দোকানদার!

09 January 2017 11:01:59 AM 176544234 ভোট:5/5 1 Comments
Star ActiveStar ActiveStar ActiveStar ActiveStar Active
অনূর্ধ্ব ১৩ দলের ফুটবলার এখন চায়ের দোকানদার!

ঝিনাইদহ মহিলা কলেজ পাড়ার মনছুরের ছেলে নাম সাইফুল ইসলাম রিজন। ২০১৭ সালের ঝিনাইদহ সরকারী বালক বিদ্যালয় থেকে বানিজ্য বিভাগে এস এস সি পরীক্ষার্থী। গত ২০১৩ সালে বাংলাদেশের হয়ে অনূর্ধ্ব ১৩ দলের হলে ফুটবল খেলতে গিয়েছিলেন মালায়শিয়া।

বাংলাদেশ টিম থাইল্যান্ডের সাথে খেলে রানার্সআপ হয়। বাবা রাস্তার পাশে ফুটপাতের চা বিক্রেতা। নিজে চা বিক্রেতা হলেও ছেলের সাধ পূর্ণ করতে ব্যস্ত। কিন্তু সাধ আছে সাধ্য নেই। বাবা মনছুর ছেলেকে নিয়ে স্বপ্ন দেখাছিল ছেলে দেশের অনেক নাম করা খেলোয়াড় হবে । তাই চা বিক্রয় করে সংসার চালালেও ছেলের লেখাপাড়া ও খেলাধুলার জন্য বরাবর উৎসাহ প্রদান করে এসেছেন। নিজের কাজের যতই কষ্ট হোক না কেন রিজনের খেলাধুলার অনুশীলনে কোন বাঁধা প্রদান করেনি।

ঝিনাইদহ ক্রীড়া সংস্থায় সহযোগিতায় বাংলাদেশ অনুরদ্ধ ১৩ টিমে চান্স পেতে বেশ কয়েকবার তাদের ঢাকা যেতে হয়েছে তার খরচের টাকা যুগিয়েছে চা বিক্রেতা মনছুর। এই ভাবেই ছেলেকে অনুপ্রেরণা যুগিছেন। কিন্তু নিয়তির কাছে সকল চেষ্টা হার মানিয়ে গেছে। খেলা করতে গিয়ে বুকে বল লেগে প্রচন্ড আঘাত পায় রিপন। বুকে আঘাত পাওয়ার পর তাকে খেলা করতে কষ্ট হয়। প্রয়োজন উন্নত চিকিৎসার।

কিন্তু চা বিক্রেতা মনছুরের পক্ষে সম্ভব না । মালায়েশিয়া থেকে খেলা করে ফিরে আসার সময় মাত্র ৫ হাজার টাকা পেয়েছিল রিজন। মনছুর আলীর আরও ১ ছেলে ১ মেয়ে আছে সংসার চালিয়ে ছেলের সাধ পুরন করা সম্ভব না। তাই এখন রিজন কে বাবার সাথে চায়ের দোকানে কাজ করে লেখাপড়া করতে হয়। অর্থের অভাবে আস্তে আস্তে ঝরে পড়তে বসেছে একটি প্রতিভা। যে হয়তোবা সুযোগ পেলে দেশের নামী ফুটবল খোলোয়াড় হতে পারত। অর্থের অভাবে একজন কৃতি ফুটবলার এখন চায়ের দোকানদার !

 

Loading...
advertisement
সর্বশেষ সংবাদ
এ বিভাগের সর্বশেষ