ঘুম থেকে ওঠার পরে কী কী করা যেতে পারে সেই বিষয়ে হয়ত অনেক সময় ভেবেছেন। কিন্তু জানেন কি, ঘুম থেকে ওঠার পরে কী কী করা উচিত নয়? জীবনকে আর একটু স্বাস্থ্যসম্মত করে তুলতে ঘুম থেকে উঠে এই ৭টি কাজ করবেন না
১. অ্যালার্ম বন্ধ করে আবার ছোট্ট ঘুম ঘুমিয়ে নেবার জন্য শোবেন না। এতে আপনার শরীর আবার গভীর ঘুমের দিকে যাত্রা করে। কিন্তু কাজের তাড়ায় পর্যাপ্ত ঘুম ঘুমনো আপনার পক্ষে সম্ভব হয় না। ফলে ঘুম থেকে উঠেও ঘুম-ঘুম ভাব আর যেতে চায় না।
২. ঘুম থেকে উঠে বিছানায় কুঁকড়ে শুয়ে থাকবেন না। বরং আড়মোড়া ভাঙুন। মন্তস্তত্ত্ব বলে, ঘুম থেকে উঠে আড়মোড়া ভাঙলে শরীরে আনন্দের ভাব সঞ্চারিত হয়। যেটা সারাদিনের কাজকর্মেও সঞ্চারিত হয়।
৩. ঘুম থেকে উঠেই নিজের মোবাইলটি ঘাঁটাঘাঁটি শুরু করবেন না। এতে জীবনের সমস্যা, অপ্রত্যাশিত উপহার, বা প্রিয়জনের প্রত্যাশা— সব কিছুর আবর্তে আচমকা গিয়ে পড়তে হয়। এর জের সারাদিন ধরে বয়ে বেড়াতে হয়।
৪. বিছানা অগোছালো রেখে অন্য কাজে হাত দেবেন না। বরং ঘুম থেকে উঠেই বিছানার বালিশ-চাদর ইত্যাদি ঠিকঠাক করে নিন। দেখবেন, এর ফলে সারাদিনের কাজই গুছিয়ে করবার প্রবণতা বাড়বে আপনার মধ্যে।
৫. ঘুম থেকে উঠেই কফি খাবেন না। মানবশরীরে সাধারণভাবে সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে করিস্টোল নামের একটি হরমোন উৎপন্ন হয়। এই হরমোন উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে। ক্যাফিন (যা কফিতে থাকে) এই হরমোনের উৎপাদনে বাধা দেয়। কাজেই কফি যদি খেতেই হয় তাহলে সকাল সাড়ে ৯টার পরে খান।
৬. দিনের কাজের জন্য যখন প্রস্তুত হচ্ছেন তখন অন্ধকারে তৈরি হবেন না। দিনের আলো আমাদের শরীরকে কাজের জন্য প্রস্তুত হতে সাহায্য করে। তাই ঘুম ভাঙার পরে দিনের আলোর মুখোমুখি হওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
৭. ঘুম থেকে ওঠার পরেই সারাদিন কী কী করবেন সেই ভাবনায় ডুবে যাবেন না। বরং ঘুম ভাঙার পর মস্তিস্ককে নিজের ছন্দে চলতে দিন। সে নিজে থেকে যা ভাবার ভাবুক। সচেতন ভাবনাগুলোকে তুলে রাখুন বাকি দিনের জন্য।