মাথা থাকলেই মাথাব্যথা হবে। অনেকেই আছেন যাদের ব্যথা প্রতিশেধক খেতে খেতে অনীহা ধরে গেছে । তাছাড়া অতিরিক্ত ওষুধ সেবন শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই তাদের জন্য দেয়া হল ঘরে বসে প্রাকৃতিক উপায়ে মাথাব্যথা দূর করার চমকপ্রদ কিছু উপায়। জল চিকিৎসা এতে শুধু মাথাব্যথা নয়, শরীরের অন্যান্য ব্যথাও উপশমে কাজ করে। প্রথমে যতটা সহ্য করা যায় ততটা গরম পানির বালতিতে ২ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। ২ মিনিট পরেই আবার কণকণে ঠান্ডা পানিতে পা ডোবান। এতে করে ত্বকে রক্ত সরবরাহের গতি বাড়বে। শরীরের দরকারি জায়গায় দ্রুত পুষ্টিকর উপাদান পৌঁছাবে, অন্যদিকে দূর হবে দূষিত পদার্থ। এভাবে চলবে বিশ মিনিট।
চোখের বিরাম যাদের সারাক্ষণ কম্পিউটার মনিটরে চোখ রাখতে হয়, তাদের মাথা ব্যথা অতি পরিচিত সমস্যা। তবে দুয়েক মিনিট পর পর এদিক ওদিক তাকালে কিংবা মুখে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিলে নিশ্চয়ই কাজের খুব একটা ক্ষতি হবে না। এছাড়া মাথা ব্যথার সময়ে নিস্তব্ধ অন্ধকার ঘরে বিশ্রাম নিতে পারেন। তাতে দ্রুত মাথা ব্যথা সেরে যাবে। ঠান্ডা-গরম থেরাপি সরাসরি বরফ লাগাবেন না, আইসব্যাগে ভরে মাথাকে বরফ শীতল করা যেতে পারে। পাশাপাশি ঘাড়ে দিতে হবে গরম পানির ভাপ। আদা চা এক চা চামচ আদাবাটা দিয়ে চা বানিয়ে খেয়ে নিন গরম গরম।
মাথাব্যথা সেরে যাবে নিমিষেই। লেবু চা মাথা ব্যথায় লেবু চা উপকার। এক্ষেত্রে লেবুর চায়ের মাঝে লেবুর চামড়াও কুচি করে মিশিয়ে দিলে উপকার পাবেন। পানি পান বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শরীরে পানির অভাবে মাথাব্যথা হয়। ব্যথার ভাব দেখা গেলে ঝটপট দুই গ্লাস ঠাণ্ডা পানি পান করুন। আর দিনে অন্তত ৩ থেকে ৪ লিটার পানি পানের অভ্যাস থাকা ভাল। আকুপ্রেশার শরীরের নির্দিষ্ট জায়গায় চাপ প্রয়োগ করে রোগ দূর করার চীনা চিকিৎসা পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। এক্ষেত্রে মুখের ভেতর বুড়ো আঙুল ঢুকিয়ে পর্যায়ক্রমে দুপাশের চোয়ালের হাড়ে চাপ দিন। এরপর দুটো বুড়ো আঙুল ঢুকিয়ে মুখের তালুতে চাপ দিন। উপকার পাবেন অল্প সময়েই।
ম্যাগনেশিয়াম ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ শাকসবজিতে রয়েছে অ্যান্টি-পাজমোডিক ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি (ব্যথানাশক) উপাদান। তাই মাথাব্যথা কমাতে বেশি করে ব্রকলি, পুঁই শাক, পালং শাক, শিম, সয়া দুধ, বাদাম খান। ঘ্রাণথেরাপি ঘ্রাণেই রোগমুক্তির পন্থা হিসেবে বাটিতে গরম পানি ঢেলে তাতে রোজমেরি গুলিয়ে ঘ্রাণ নিতে পারেন। রোজমেরি ছাড়া, পিপারমিন্ট, ল্যাভেন্ডার, স্যান্ডালউড বা ইউক্যালিপ্টাসের ঘ্রাণও কাজে আসে। তবে ঘ্রাণ নেয়ার আগে টাওয়েল দিয়ে যতটা সম্ভব বাটিসহ মাথা ঢেকে নিবেন। শিথিলতা অবরম্বন করা অনেক সময় অস্থিরতা থেকেও অসহনীয় মাথাব্যথা দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে নিজেকে কিছুটা সুস্থির করতে পারলে ব্যথা চলে গেছে। এজন্য এক থেকে ধীরে ধীরে একশ পর্যন্ত গুনতে থাকুন। বড় করে শ্বাস নিন যাতে মাংসপেশী শিথিল হয়। শরীরকে টান টান করে রাখুন। গরম পানি দিয়ে গোসল করলেও ভাল ফল পাবেন।