নতুন বা পুরাতন রাঁধুনী যেটাই হোন না কেন, অনেক যত্ন করেই শুরু করেছেন রান্না। উপকরণ আর পদ্ধতিতে কমতি নেই কোনো অংশে। ভাবছেন, আজ বাসায় আসা মেহমানরা খাবারের তারিফ না করে পারবে না। সব শেষে খাবার চেখে দেখলেন, বেখেয়ালে খাবারে এতো বেশি লবণ দিয়েছেন- যে জিভ জ্বলে যাচ্ছে। কি করবেন, খাবার ফেলে দেবেন? না, উপায় আপনার হাতে। আসুন দেখে নেয়া যাক।
* তরকারী বা ডাল থেকে লবণ কমানোর সবচাইতে সহজ উপায় হচ্ছে লবণ ছাড়া ময়দা দিয়ে পাতলা করে খামি তৈরি করুন। তারপর ছোট ছোট বল আকারে ঝোল বা ডালের মধ্যে ছেড়ে দিন। লবণের পরিমাণ ঠিক হয়ে আসবে।
* মাছের তরকারী হলে লবণ ছাড়া ডালের বড়ি করে দিতে পারেন। তেলের মাঝে বড়ি হালকা ভেজে তরকারিতে দিয়ে দিন। এতে লবণ কমে আসবে। সেদ্ধ করা আলুও দিতে পারেন।
* সবজি ভাজিতে লবণ বেশি হয়ে গেলে কাটা পিঁয়াজ, ধনেপাতা ও টমেটো কুচিও দিতে পারেন। তারপর আবার ভালো করে ভেজে নিন। দেখবেন লবণ সহনীয় হয়ে গেছে।
* দোপেঁয়াজা বা কোন ভুনা খাবারে লবণ বেশি হয়ে গেলে অল্প টক দই আর চিনি দিতে পারেন। ভালো করে মিশিয়ে ঢাকনা দিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট দমে রাখুন। লবণ তো কমবেই সঙ্গে খাবারের স্বাদ বাড়বে বহুগুনে।
* কাবাব, ভুনা, বা ডাল চচ্চড়ি জাতীয় খাবারে লবণ বেশি হয়ে গেলে অল্প লেবুর রসের সঙ্গে এক চিমটি চিনি দিন। খাবারের লবণকে অনেকটাই কম মনে হবে।
* বিরিয়ানি বা পোলাওয়ে লবণ কমাতে দুধ খুব কার্যকরী। কিছু কিছু তরকারিতেও দুধ দিয়ে লবণ কমিয়ে আনতে পারেন।