আসলে অনেকের ধারণা ( অনেকের না, শতকরা ৯৯.৯৯৯৯% ) যে, কোন বিশেষ স্থানের ব্যায়াম, সেখানকার চর্বি কমায়। অনেক ব্যায়াম আর যোগ ব্যায়ামের বইয়েও এরকমটা লেখা থাকে। আর তাই, অনেকের ধারণা, পেটের ব্যায়াম করলে বুঝি পেটের চর্বি কমে! আসল ব্যাপার হচ্ছে, মানুষের এই চর্বিকে আপনি কোন ড্রামে রাখা তেলের মত ভাবতে পারেন। ড্রাম থেকে তেল তুলে নিলে বা ড্রামে কোন ফুটো করলে আদতে যেমন সমস্ত ড্রাম থেকেই তেল কমে, তেমনি যে কোন ধরণের ব্যায়ামেই আসলে সমস্ত শরীর থেকেই একই সাথে চর্বি কমে। আর তাই, জিমে পেটের ব্যায়াম আসলে পেটের চর্বি কমায় না। পরিশ্রম তথা কার্ডিও ভাসকুলার একটিভিটিস হলে সারা শরীর থেকেই চর্বি কমে। বরং পেটের ব্যায়ামের কারণে পেটের এপিথেলিয়াল মাসলসগুলো শক্ত হয়, বৃদ্ধি পায়, আর তাই ফ্লাবি বা থলথলে ভাবটা কমে আসে। তাই, এরকমটা মনে হয় যে, পেটের বুঝি চর্বি কমলো। আর তাই স্পেসেফিক গলা বা গাল থেকে চর্বি কমানো যায় না। হেলদি ডায়েটিং আর ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন কমালে অটোমেটিক গালের চর্বিও কমে আসবে। (( তবে জেনেটিক্যালি অনেক শুকনো মানুষেরও গাল ফোলা ফোলা থাকে, যাদের গাল ওরকম নাদুসনুদুস, ভুডুভুডু----ওগুলো সাধারণত খুব একটা কমে না, যদি না সেই ব্যক্তি দূর্ভিক্ষের মত না খেয়ে থাকেন। সে ক্ষেত্রে চর্বির আগে প্রোটিন ভাঙে শরীরের। কারণ শর্করার পর, প্রোটিনই শরীরের কাছে শকি যোগানোর সহজ উপায়।))
প্রচুর পানি খেতে হবে। চিনি জাতীয় মিষ্টি কম খেতে হবে। সবুজ সবজী, শাক খেতে হবে। মনে রাখবেন শরীরের বিভিন্ন অংশের চেয়ে গাল, চোখের আশেপাশে এবং পায়ের পাতায় পানি জমে বেশী। স্বাভাবিক ধারন ক্ষমতার চেয়ে পানি কম পান করলেই শরীরের এসব অংশে পানির পরিমান বেড়ে যায়, এবং পানি ধারন করতে শুরু করে। প্রচুর পানি খেলে এসব অঙ্গের সংবেদনশীলতা রক্ষা করা শরীরের জন্য সহজ হয়, তখন সে আর এসব অঙ্গের জন্য পানি ধারন করে রাখেনা, প্রচুর পানি পান করার কারনে স্কিন এর আদ্রতা ঠিক থাকে, পানি জমা করে রাখার প্রয়োজনও হয়না। একটি দেশের জনগন যদি সমস্ত ক্ষমতার উৎস হয় তবে পানিও একটি শরীরের সমস্ত স্বাভাবিকতার একমাত্র মাধ্যম.........। এটা বাড়তি উপদেশ, সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি, বাসি পেটে অন্তত ১ লিটার পানি পান করুন! আপনার বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা একেবারেই উধাও হয়ে যাবে।