খুলনার শোল-লাউয়ের ঝোল
যা লাগবে : লাউ মাঝারি সাইজ ১টি, শোল মাছ ৭-৮ টুকরা, পেঁয়াজ কুচি এক-দুই কাপ, রসুন কুচি এক টেবিল চামচ, আস্ত ধনে ১.৫ চা চামচ, আস্ত জিরা এক চা চামচ, তেজপাতা দুই-তিনটি, কাঁচামরিচ ফালি করা দশটি, লবণ স্বাদমতো, হলুদ গুঁড়া পছন্দমতো, তেল-দুই টেবিল চামচ।
যেভাবে করবেন : শুকনা তাওয়ায় আস্ত ধনে, জিরা এবং তেজপাতা টেলে নিন। এগুলো গুঁড়া করে নিন, লাগলে অল্প পানি দিয়ে বেটে নিতে পারেন। কড়াইয়ে তেল গরম করে পেঁয়াজ রসুন কুচি ভেজে উঠিয়ে নিন। এগুলোও বেটে নিন। কড়াইয়ের অবশিষ্ট তেলে লবণ-হলুদ মাখানো শোল মাছ দিয়ে ভালো করে কষিয়ে উঠিয়ে নিন। বাকি যে তেল থাকবে তার মধ্যে টুকরা করা লাউ দিন। লবণ, হলুদ ও মরিচ দিয়ে ঢেকে দিন। পানি ছেড়ে লাউ সিদ্ধ হয়ে এলে মাছ দিন। এ লাউয়ের ঝোলের পানি থেকে এক-দুই কাপ ঝোল উঠিয়ে নিন। এতে গুঁড়া মশলা এবং বেটে রাখা ভাজা পেঁয়াজ-রসুন গুলিয়ে চামচে করে লাউয়ে ছড়িয়ে মিশিয়ে দিন। আবারও ঢেকে দিন। লাউ সিদ্ধ হলে নামিয়ে নিন খুলনা অঞ্চলের একেবারেই নিজস্ব স্বাদের চমৎকার এ রান্না।
খুলনার ভাপা চিংড়ি
যা লাগবে : মাঝারি সাইজের গলদা-বাগদা চিংড়ি আটটি, কাঁচামরিচ বাটা দশটি, পেঁয়াজ বাটা দুই টেবিল চামচ, সরিষা বাটা এক টেবিল চামচ, নারিকেল বাটা দুই টেবিল চামচ, সরিষার তেল এক-তিন কাপ, লবণ স্বাদমতো চিনি এক-দুই চা চামচ, পানি এক-দুই কাপ, আস্ত কাঁচামরিচ সাত-আটটি।
যেভাবে করবেন : চিংড়ি মাছের খোসা ছাড়িয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন। পেঁয়াজ বাটা, মরিচ বাটা, নারিকেল বাটা, সরিষা বাটা, লবণ ও চিনি ভালো করে মিশিয়ে চিংড়িতে মাখিয়ে রেখে দিন আধা ঘণ্টা। কাঁচামরিচ পানি দিয়ে আবারও মাখিয়ে নিন। টিফিন ক্যারিয়ারের বাটিতে ঢেলে মুখ বন্ধ করে দিন। কড়াইয়ে টিফিন ক্যারিয়ারের বাটি বসিয়ে একটা ওজন চাপা দিন। এবার কড়াই ঢেকে চুলায় দিয়ে জোর আঁচে রান্না করুন দশ-বারো মিনিট। পানি শুকিয়ে কমে গেলে আবারও পরিমাণমতো ফুটন্ত পানি যুক্ত করবেন। সুন্দর গন্ধ ছড়ালে বুঝবেন রান্না শেষ।
খুলনার নারিকেল দুধে হাঁস
যা লাগবে : চামড়াসহ টুকরা করা হাঁস একটি, ঘন নারিকেল দুধ তিন কাপ, পেঁয়াজ কুচি এক কাপ, আদা বাটা ১.৫ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ১.৫ টেবিল চামচ, মরিচ গুঁড়া স্বাদমতো, লবণ-স্বাদমতো, হলুদ গুঁড়া পছন্দমতো, ধনে গুঁড়া এক টেবিল চামচ, জিরা গুঁড়া এক চা চামচ, গরমমশলা (এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ) তিন-চারটি করে প্রতিটি, তেল দুই টেবিল চামচ।
যেভাবে করবেন : তেলে পেঁয়াজ লাল করে ভেজে নিন। অর্ধেকটা উঠিয়ে বাকি অর্ধেকটার মধ্যে গরমমশলা দিন। নেড়েচেড়ে কিছুটা নারিকেলে দুধ দিন। এবারে একে একে আদা-রসুন বাটা, ধনে, জিরা গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, লবণ ও হলুদ দিয়ে হাঁসের মাংস কষান। পানি শুকিয়ে গেলে আবারও কিছুটা নারিকেল দুধ দিয়ে কষান। তারপর অবশিষ্ট নারিকেল দুধ দিয়ে ঢেকে সিদ্ধ করুন। হাঁস সিদ্ধ হয়ে ঝোল গা-মাখা হলে বন্ধ করুন। তারপর উঠিয়ে রাখা বেরেস্তা ছড়িয়ে আবারও ঢেকে রাখুন পাঁচ মিনিট। ব্যাস তৈরি নারিকেল দুধের দারুণ মজাদার হাঁস।
গরমে স্মুথি মকটেল আর লেয়ার
গরমের দিনে আর্দ্রতা আর তেষ্টাই যেন একটা কষ্টদায়ক অভিজ্ঞতা। তেষ্টায় প্রশান্তি এনে দেয় নানা রকম মৌসুমী ফলের রস অথবা ফলের কুচি দিয়ে বানানো পানীয় বা খাদ্য। রেসিপি দিয়েছেন মনিরা মোস্তফা মিতা আলোকচিত্রী শরিফ মাহমুদ
লেয়ার স্মুথি
যা লাগবে : আম ১ কাপ (চিনি দিয়ে ব্লেন্ড), তরমুজ ১ কাপ (চিনি দিয়ে ব্লেন্ড), লবণ আন্দাজমতো খুব অল্প টকদই আধা কাপ।
যেভাবে করবেন : ব্লেন্ডারে তরমুজের জুসের সঙ্গে অর্ধেক পরিমাণ টকদই ও লবণ দিয়ে ব্লেন্ড করতে হবে। এবার ফ্রিজে সার্ভিং গ্লাসে ঢেলে ১০ মিনিট রাখতে হবে। এবার আমের জুসও একইভাবে ব্লেন্ড করে আস্তে আস্তে তরমুজের জুসের ওপর ঢেলে আরও কিছুক্ষণ রেখে পরিবেশন করতে হবে
আনারসের মকটেল
যা লাগবে : আনারস কুচি ১ কাপ, সাদা গোলমরিচের গুঁড়া ৪/৩ চা চামচ, লবণ আন্দাজমতো, চিনি আধা চা চামচ, বরফ কুচি পরিমাণমতো।
যেভাবে করবেন : সব কিছু একসঙ্গে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে সার্ভিং গ্লাসে ঢেলে ৫-৬ মিনিট ফ্রিজে রাখতে হবে। আনারস সাজিয়ে পরিবেশন করতে হবে।
তরমুজের লেমোনেড লেয়ার
যা লাগবে : তরমুজ কুচি ১ কাপ, লেবুর রস ২ টেবিল চামচ, সুগার সিরাপ ১ টেবিল চামচ, বরফ কুচি পরিমাণমতো, পানি ২ কাপ।
যেভাবে করবেন : সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে ব্লেন্ড করতে হবে এবং ২ লেয়ারের জন্য নরমাল ফ্রিজে ১০-১৫ মিনিট রাখতে হবে। তাহলে এটা জমে ২ লেয়ার হয়ে যাবে এবং পরিবেশন করা যাবে।
খবর - যুগান্তর পত্রিকা