○ আলুর টুকরা: তরকারিতে লবণ বেশি মনে হলে কয়েক টুকরা আলু যোগ করুন। তরকারি থেকে অতিরিক্ত লবণ শোষণ করবে আলুর টুকরাগুলো। তরকারিতে ২০ মিনিট পর্যন্ত রাখতে হবে আলু। আলু দেওয়ার আগে খোসা ছাড়িয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
○ ময়দার বল: লবণ বেশি হলে তরকারির পরিমাণের ওপর নির্ভর করে ময়দার বল তৈরি করে তরকারির মধ্য ছেড়ে দিতে পারেন। সাধারণত দু-তিনটি বল দিলেই কাজ হয়। ময়দা সেদ্ধ করে বা কাঁচা ময়দার বল তৈরি করেও তরকারিতে দিতে পারেন। অবশ্য খাবার পরিবেশনের সময় ওই বল সরিয়ে ফেলতে হবে।
○ ক্রিম: তরকারিতে লবণের পরিমাণ কমাতে তাতে ক্রিম যুক্ত করতে পারেন। এতে তরকারিতে ক্রিমভাব আসবে এবং অতিরিক্ত লবণাক্ততা দূর হবে।
○ সেদ্ধ আলু: তরকারিতে লবণ বেশি হলে আলু সেদ্ধ করে তার মধ্যে দিতে পারেন। এতে ওই আলু তরকারি হয়ে যাবে। পুরোনো তরকারিতে নতুন স্বাদ আসবে।
○ দই: তরকারিতে যদি লবণ একটু বেশি মনে হয়, তবে এক টেবিল চামচ দই যুক্ত করতে পারেন। এতে লবণাক্ততা কমবে এবং স্বাদ বাড়বে।
○ দুধ: দইয়ের মতোই কাজ করে দুধ। এটিও তরকারিতে লবণাক্ততা দূর করে পুরো স্বাদে ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে।
○ পেঁয়াজ: কাঁচা বা ভাজা দুই রকম পেঁয়াজ ব্যবহার করতে পারেন। যদি কাঁচা পেঁয়াজ ব্যবহার করেন, তবে দুই টুকরা করে কিছুক্ষণ তরকারিতে রেখে সরিয়ে ফেলুন। এতে অতিরিক্ত লবণ দূর হবে। আর ভাজা পেঁয়াজ ব্যবহার করলে তরকারিতে লবণ দূর হওয়ার পাশাপাশি স্বাদ বাড়বে।
○ ভিনেগার ও চিনি: তরকারিতে স্বাদ ঠিক রাখতে এক টেবিল চামচ ভিনেগার ও এক টেবিল চামচ চিনি যোগ করতে পারেন। টক ভিনেগার ও মিষ্টি চিনি তরকারিতে যোগ করার ফলে স্বাদে ভারসাম্য আসবে।
○ পাতিলেবুর রস: লবণের পরিমাণ বেশি হলে কয়েক ফোঁটা পাতিলেবুর রস দিয়ে দিন। এতে খাবারের স্বাদ অপরিবর্তিত থাকবে এবং অতিরিক্ত লবণও কমে যাবে। তবে দুধ বা দই দিয়ে রান্না খাবারে লবণ বেশি হলে লেবুর রস দেওয়া যাবে না। এতে লবণাক্ত ভাব আরও বেড়ে যাবে।
○ ডালের বড়ি: মাছের তরকারি হলে ডালের বড়ি যোগ করুন। তেলের মাঝে বড়ি হালকা ভেজে তরকারিতে দিয়ে দিন। এতে লবণ যেমন কমবে, স্বাদেও আসবে ভিন্ন মাত্রা।
○ মালাই: রোস্ট, রেজালা ইত্যাদি খাবারে লবণ বেশি হয়ে গেলে যোগ করুন মালাই। ওই একইভাবে দমে দিয়ে রাখুন। লবণ কমে যাবে।