মায়েরা সন্তান ধারণ ও সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানোর ক্ষমতা হারাচ্ছেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ব্রিটেনের ডাক্তাররা। এর পেছনে কারণ হিসাবে ডাক্তাররা অতিরিক্ত ওষুধ সেবন ও অপারেশনের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের প্রবণতাকে দায়ী করেছেন।
ড. মিশেল ওডেন্ট বলেন, নারীরা পরিশ্রমের সময় ওষুধের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হয়ে পড়ায় তাদের সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা কমে আসছে। ড. রোডেন্টের বিশ্বাস নারীরা সন্তান জন্মদানের জন্য প্রয়োজনীয় হরমোনের ঘাটতিতে পড়ার ঝুঁকিতেও রয়েছেন। কারণ ডাক্তাররা তাদেরকে কৃত্রিমভাবে হরমোন উৎপাদনে ওষুধ সেবনের পরামর্শও দিয়ে আসছেন বেশি বেশি।
আর প্রাকৃতিকভাবে হরমোন উৎপাদনে ঘাটতির ফলে বুকের দুধ উৎপাদনেও ঘাটতি দেখা দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে নারীরা ইতোমধ্যেই আগের চেয়ে অনেক বেশি সময় ধরে কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ত থাকছেন। ২০০২ থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে সন্তান জন্ম দেওয়া মায়েরা ১৯৫০ এর দশকের শেষদিকের তুলনায় গড়ে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই ঘন্টা বেশি কাজ করছেন।
ড. রোডেন্ট তার নতুন বই ‘ডু উই নিড মিওয়াইভস? এ বলেন, ওই গবেষণায় দেখা গেছে যে, সন্তান জন্মদানে সক্ষম নারীদের সংখ্যা কমছে। এর প্রধান একটি কারণ, মায়েদের জন্য ডাক্তারদের অক্সিটোকিন হরমোন সরবরাহ। এই হরমোনটি কৃত্রিমভাবে কর্মক্ষমতা বাড়ানো ও সন্তানের জন্য বুকের দুধ উৎপাদনেও সহায়ক।
এর আগে অনেকে দাবি করেছেন এই হরমোনের প্রভাবেই সন্তানের সঙ্গে মায়ের ভালোবাসার বন্ধন আরো দৃঢ় হয়। কিন্তু কৃত্রিমভাবে উৎপাদিত হরমোনের উপর নির্ভরশীলতার কারণে নারীরা প্রাকৃতিকভাবে নিজেদের শরীরে হরমোন উৎপাদনের ক্ষমতা হারাচ্ছেন। এতে একসময় পুরো মানবজাতির সন্তান উৎপাদনের সক্ষমতাই ঝুঁকিতে পড়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
সূত্র: ডেইলি মেইল।