আপনি আছেন » প্রচ্ছদ » খবর

প্রথম টি২০ তে ইংল্যান্ডের কাছে ৭ উইকেটে হারলো ভারত

 

টি-টোয়েন্টি সিরিজে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে অশ্বিন, জাদেজাকে। সিরিজের প্রথম ম্যাচে সেটাই বোধহয় ফ্যাক্টর হয়ে গেল। বিশেষত ভারতের ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে। চহাল চমক দিলেন বটে, তবে ম্যাচ বাঁচাতে পারলেন না। নেহরার অভিজ্ঞতাতেও ফিরল না পুরনো ম্যাজিক। সাধারণতন্ত্র দিবসে ইংল্যান্ডের কাছে হার মানতে হল কোহলি বাহিনীকে।

কোহলির জয়রথ থামাতে এদিন গোপন অস্ত্রের ব্যবস্থা করেছিল ইংল্যান্ড। ম্যাচের আগের দিনই সে সব পাত্তা দেননি ভারতীয় ক্যাপ্টেন। তা শুধু কথায় নয়, কাজেও। এদিন লোকেশ রাহুলকে নিয়ে ওপেন করতেই নেমে পড়লেন। তবে সব দিন সমান যায় না। আজকের দিনটাও কোহলির ছিল না। বলা যায়, ভারতীয় ব্যাটিং লাইন আপের জন্যও আজকের দিনটা ঠিকঠাক ছিল না। কোহলি, রাহুল, যুবরাজ কেউই তেমন কিছু করতে পারলেন না। আশা জাগাচ্ছিলেন সুরেশ রায়না। একদিনের সিরিজে কেদার যাদবের দুরন্ত পারফরম্যান্সের জেরে তিনি দলে জায়গা পাবেন কি না তা নিয়েই জোর জল্পনা ছিল ক্রিকেট দুনিয়ায়।নিজেকে প্রমাণ করার একটা তাগিদ বোধহয় ছিল রায়নার নিজেরও। এদিন তাঁর ব্যাট থেকে বড় রানের ইনিংস আসার ইঙ্গিতও ছিল। কিন্তু স্টোকসের কাছে পরাস্ত হতে হল। ফিরলেন ৩৪ রান করে। একা দুর্গ সামলাচ্ছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। যতক্ষণ তিনি ক্রিজে আছেন, ততক্ষণ ভারতেরও রান মেশিন সচল থাকবে, এমনটাই প্রত্যাশা। কিন্তু তাঁকে সঙ্গত দেওয়ার যোগ্য ব্যক্তি কাউকে দেখা গেল না। মণীশ পাণ্ডে ভাল সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারলেন না। হার্দিক, বুমরাও তথৈবচ। ফলত ১৪৭ রানেই থামতে হল ভারতকে। ধোনি অপরাজিত থেকে গেলেন ২৭ বলে ৩৬ রান করে।

টি-টোয়েন্টিটে এখন যেরকম রান ওঠে, তাতে লক্ষ্যমাত্রা এমন কিছু নয়। রয় ও বিলিংস খেলছিলেন হাত খুলেই। আশিস নেহরাকে ফিরিয়ে আনা নিঃসন্দেহে ভারতের বড় চমক। আবার তাঁর অভিজ্ঞতার ভেলকি দেখাবে, এমনটা আশা ছিল। কিন্তু এদিন নেহরা খেলার রং বদলে দিতে পারলেন না, বদলে ম্যাজিক দেখালেন চহাল। পরপর শুধু রয়, আর বিলিংসেই ফেরালেন না, ভারতকেও খেলায় ফিরিয়ে আনেন। মোড় ঘোরানো মুহূর্তেই খেলাকে এনে দাঁড় করিয়েছিলেন চহাল। তবে রুট, মর্গ্যান দক্ষতার সঙ্গেই ঘর সামলাতে থাকেন। ভারতীয় বোলারদের সমস্ত ভুলচুকে কড়া শাসনের মেজাজেই দেখা গেল দুজনকে. ফলত জয়ে পৌঁছতে দেরি হয়নি। ৩৮ বলে ৫১ করে মর্গ্যান যখন ফিরলেন, তখন ঘর গুছিয়ে নিয়েছে ইংল্যান্ড। বাকি কাজটার জন্য রুট তো ছিলেনই। বুমরাহ যদি রুটের উইকেটটা নিতে পারতেন, তবে হয়ত খেলায় কিছু চমক থাকলেও থাকতে পারত। কিন্তু নো বলের গেরোয় সে সুযোগ হারালেন বুমরাহ। ফলত ম্যাচ জিততে বিশেষ কষ্ট করতে হয়নি ইংল্যান্ডকে। সিরিজের প্রথম ম্যাচে সহজ জয়ই হাসিল করে নিল মর্গ্যানবাহিনী।