ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর শহরে শাইলা তনুজা নামে এক চিকিৎসক অজ্ঞানের ডাক্তার ছাড়াই দেদারছে অপারেশ করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ইতিমধ্যে মান্ধাতা আমলের পদ্ধতিতে অজ্ঞান করে অপারশেনের ফলে চারটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ।
তারপরও তিনি থেমে নেই। জবাবদিহীতা না থাকায় ক্যালিপসল ইনজেকশন দিয়ে অজ্ঞান করে তিনি অপারেশ বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন।
অনুসন্ধান করে জানা গেছে, শাইলা তনুজা যশোর থেকে কোটচাঁদপুরের ইবনে সিনা ডায়াগোনেষ্টিক সেন্টারে রোগী দেখেন। ডাঃ আকবর আলীর বাড়িতে তিনি ভাড়া থাকেন। তিনি কোটচাঁদপুরের জনতা, সিটি, একতা, নার্সিং হোম ও আশ-শেফা হাসপাতালে নিয়মিত অপারেশন করেন।
শৈল চিকিৎসা বিদ্যায় অনভিজ্ঞ শাইলা তনুজা ক্যালিপসল ইনজেকশন দিয়ে অজ্ঞান করে অপারেশ করার পরপরই রোগীদের অবস্থা প্রায় সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে। অনেক রোগী অপারেশনের পর যশোর নিয়ে যেতে হয়।
এ পর্যন্ত একতা ও সিটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ক্যালিপসল দিয়ে অজ্ঞান করে সিজার করার পর চারটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অজ্ঞানের চিকিৎসক ছাড়াই ডাঃ শাইলা তনুজা সেবা নয় বরং বানিজ্যিক ভিত্তিতে এই অপচিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ।
ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ও কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা নাকের ডগায় ডাঃ শাইলা তনুজা সিজার, পিআইডি ও এ্যপেনডি অপারেশন করে যাচ্ছেন। বিষয়টি জানতে ডাঃ শাইলা তনুজার মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুস সালাম বলেন, ক্যালিপসল ইনজেকশন দিয়ে অফারেশন করার রেওয়াজ এখন নেই। গর্ভবতি মহিলাদের এ ভাবে অপারশে করলে ঝুকি থাকে। তাছাড়া যে ক্লিনিকগুলোতে তিনি অপারেশন করেন, তাদের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। তিনি সরেজমিন পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি/জাহিদুর রহমান তারিক