এবার বিরল একটি মেডিকেল কেসের স্বাক্ষী রইল তামিলনাড়ু । এক বছরের শিশুর পেটে থেকে পাওয়া গেল তিন কিলোগ্রাম ওজনের ভ্রূণ । তামিলনাডুর মেট্টুপালায়ামের একটি বেসরকারি হাসপাতলে সার্জারির মাধ্যমে চিকিৎসকেরা শিশুটির শরীর থেকে ভ্রূণ বের করেছেন । জন্মানোর পর থেকেই শিশুটির পেট স্বাভাবিকের থেকে একটু বড় ছিল । তবে তার বাবা মা তাতে বিশেষ নজর দেননি । তাদের মনে হয়েছিল কিছুদিনের মধ্যে তা ঠিক হয়ে যাবে । কিন্তু কয়েকদিন পর থেকেই বিভিন্ন রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে শিশুটির ।
শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় তার । এমনকি তার খেতেও অসুবিধা হতে থাকে । অন্যদিকে তার পেট ক্রমে বাড়তে থাকে। এরপরই তার বাবা মা শিশুটিকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায় । ৩.৫ কেজির ভ্রূণ পাওয়া গেল এক বছরের শিশুর পেটে চিকিৎসকেরা প্রথমে অনুমান করেন শিশুটির পেটের ভিতরে সিস্ট বা টিউমার জাতীয় কিছু রয়েছে । কিন্তু আল্ট্রাসোনোগ্রাফি করে টিউমারটির আকার দেখে তাদের সন্দেহ হয় । তখন তারা অপারেশন করার সিদ্ধান নেন । ডা: বিজয়াগিরির অধীনে শিশুটির সার্জারি করা হয় ।
তিনি জানান, ‘অপারেশন করার পর আমরা নিশ্চিত হয় যে শিশুটির পেটে টিউমার নয় বরং ভ্রূণ ছিল । ’ তিনি আরও জানান যে অপারেশনটি বেশ বিপদজ্জনক ছিল । কারণ শিশুটির বাঁদিকের কিডনি ওই টিউমারটির সঙ্গে জোরা ছিল । বিরল এই মেডিকেল কেসটিকে ‘ফিটস-ইন-ফেটু’ বলা হয় । সারা বিশ্বে ২০০ টি এরকম কেসের কথা জানা গিয়েছে । ভ্রুণটি বের করার আগে এক বছরের শিশুটির ওজন ছিল আট কেজি । এখন তার অবস্থা স্থীতিশিল । অপারেশনের পর তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে ।