“জলে চুন তাজা, তেলে চুল তাজা” এই টাং টুইস্টারটি কারোর কাছেই অজানা নয়। আমরা এই চুল তাজা রাখতে নানারকম পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকি। আর মেয়েদের চুল একটা আলাদা আকর্ষণের বিষয়। চুলের একবার ওলট পালটেই কত পুরুষের যে মাথা বনবন করেছে তার ইয়ত্তা নেই। কিন্তু চিনের এই প্রজাতির মহিলারা চুল নিয়ে বেশী চুলোচুলি একদম পছন্দ করেন না। কেটেকুটে কোন বিশেষ ছাঁট দেওয়া তো অনেক দূরের কথা। এদের কাছে চুলের ধর্ম শুধুই বেড়ে যাওয়া। আসলে সারা জীবনে মাত্র একবারই চুল কাটেন এই চিনা মহিলারা। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই ঘটনা।
দু’হাজার বছর ধরে চীনের গুয়াংসি প্রদেশের হুয়ানগ্লো গ্রামে চলে আসছে এই চুল না কাটার প্রথা। গ্রামের ইয়াও জনগোষ্ঠীর সব মহিলারাই কোনদিন নাকি চুল কাটেনি না। তাদের নিয়মে বলা আছে ১৮ বছর বয়সে বয়সে একবার চুল কাটতে পারবে। ওই একবারই ব্যস। শত ঝামেলাতেও কাটা যাবে না চুল। স্বাভাবিকভাবে চুল তাই নিজের আপন খেয়ালে বেড়েই চলে। পাশাপাশি এটাও জেনে নিন ইয়াও মহিলাদের চুল সতেজ রাখার জন্যও কোন তেল লাগে না। লাগে না কোন শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার। চুল ভালো পদ্ধতিটিও বেশ অভিনব কায়দার। বয়ে চলা নদীর জলে চুল ভালো করে ধুয়ে নেন। তাতেই নাকি সব ধুলো ,ময়লা ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যায়। জল দিয়েই চলে নিয়মিত চুলের পরিচর্যা। ইতমধ্যেই সাত ফুট লম্বা চুলের রেকর্ড করেছেন এক মহিলা। এছাড়া প্রায় ৬০ জনের চুল তিন ফুট পর্যন্ত লম্বা। এই এতো বিশাল চুলবাহার নিয়েই দৈনন্দিন কাজকর্মও করেন প্রত্যেকে। সত্যি বলতেই হচ্ছে চুল দিয়ে যায় চেনা।