দক্ষিণ চিন সাগরে ফের চ্যালেঞ্জের মুখে বেজিং। বিতর্কিত জলভাগের আকাশে এ বার বোমারু বিমান পাঠিয়ে দিল আমেরিকা। বেজিংকে আরও স্পষ্ট করে ওয়াশিংটন ডিসি বুঝিয়ে দিল, দক্ষিণ চিন সাগরের ৯০ শতাংশ এলাকাকে ‘নাইন ড্যাশ লাইন’-এর মধ্যে রেখে চিন গোটা অঞ্চলকে নিজেদের জলসীমা বলে দাবি করলেও, আমেরিকা কিছুতেই ওই জলভাগের দখল চিনকে নিতে দেবে না। মার্কিন বিমান বাহিনীই শুক্রবার দক্ষিণ চিন সাগরের উপর দিয়ে বোমারু বিমান ওড়ানোর খবর জানিয়েছে। প্রশান্ত মহাসাগরের মাইক্রোনেশিয়া অঞ্চলে গুয়াম দ্বীপে আমেরিকার যে সামরিক ঘাঁটি রয়েছে, সেখান থেকেই বৃহস্পতিবার বোমারু বিমানগুলি উড়েছিল বলে জানানো হয়েছে। দক্ষিণ চিন সাগরের যে সব এলাকাকে চিন নিজেদের জলসীমা বলে দাবি করে, সেই সব এলাকার উপরেই চক্কোর কেটেছে মার্কিন বোমারু বিমানগুলি।
দক্ষিণ চিন সাগরে হয়ে বিভিন্ন দেশের জাহাজ সারা বছর বিপুল পরিমাণ পণ্য নিয়ে যাতায়াত করে। ওই অঞ্চলকে চিন নিজেদের জলসীমা বলে দাবি করে। কিন্তু আমেরিকা-সহ প্রায় গোটা পৃথিবীই মনে করে, দক্ষিণ চিন সাগর আন্তর্জাতিক জলভাগ এবং সেখানে স্বাধীন ভাবে যাতায়াতের সুযোগ সব দেশেরই রয়েছে। দক্ষিণ চিন সাগর হয়ে স্বাধীন ভাবে চলাচলের অধিকার সুনিশ্চিত রাখতে মাঝে-মধ্যেই সেখানে রণতরী পাঠায় আমেরিকা। চিনের কঠোর হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে সম্প্রতি মার্কিন রণতরী ইউএসএস স্টেটহেম চিনের দখলে থাকা ট্রিটন দ্বীপের গা ঘেঁষে টহল দিয়ে এসেছে। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ চিন সাগরের আকাশে বোমারু বিমান উড়িয়ে আমেরিকার ফের চিনকে বুঝিয়ে দিল, ওই জলভাগে বেজিং-এর সার্বভৌম অধিকারকে কিছুতেই স্বীকৃতি দেওয়া হবে না।