এইমাত্র পাওয়া

  • কাপ জিতেই ছাড়ব, জন্মদিনে শপথ মেসির
  • প্রাথমিকে ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জুলাইয়ে, থাকছে ৬০% নারী কোটা
  • ঝালকাঠিতে সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ধ্রুবতারা’র দোয়া ও ইফতার অনুষ্ঠান
  • ঝিনাইদহে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সেমিনার
  • দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে
  • ফাঁটা পায়ের যত্নে কিছু পরামর্শ !!
  • ডায়াবেটিস রোগীরা কি রোজা রাখতে পারবে?
  • ওজন কমাবে কালো জিরা
  • হলুদ দাঁতের সমস্যা সমাধান করুন নিমিষেই
  • কিশিমিশের পানি খেলে যে উপকার পাবেন
Updated

খবর লাইভ

গর্ভের সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে জানুন এই ঘরোয়া পদ্ধতিতে

08 September 2017 09:12:48 198211666 ভোট:5/5 11 Comments
Star ActiveStar ActiveStar ActiveStar ActiveStar Active
গর্ভের সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে জানুন এই ঘরোয়া পদ্ধতিতে

গর্ভের শিশুটি ছেলে না কি মেয়ে? এটা জানার ইচ্ছা বাবা-মায়ের হতেই পারে। খুব আশা ও উল্লাস নিয়েই জন্ম দিতে যাচ্ছেন নিজের সন্তানকে। ইচ্ছা অনেক মায়েরাই তাদের গর্ভের সন্তান সম্পর্কে আলট্রাসনগ্রাম করার আগেই জানতে পারেন। কিন্তু কি এত কিছু না করে সামান্য কয়েকটি বিষয় জানা থাকলেই আপনি বুঝবেন আপনার গর্ভে আপনার ছেলে আছে নাকি মেয়ে!

আসুন জেনে নেই কিভাবে তা জানবেন –

১. কোন খাবারের প্রতি আকর্ষণ

বেশীরভাগ মহিলা গর্ভাবস্থায় হরমোন ভারসাম্যহীনতায় ভোগে। যার ফলে তাদের মাঝে বিভিন্ন কিছু খাওয়ার প্রবল ইচ্ছা জাগে। আপনার ক্ষুধিত খাদ্য টাইপ আপনার গর্ভস্থ শিশুর লিঙ্গ নির্ধারণ করতে পারে। আপনার যদি মিষ্টি বা চিনিযুক্ত খাবার ইচ্ছা হয়, তাহলে সম্ভবত মেয়ে হবে আর যদি নিমকি এবং মসলাদার খাবার খাওয়ার ইচ্ছা হয়, তাহলে ছেলে হতে পারে।

২. পেটের সমস্যা

সমীক্ষায় দেখা গেছে, যাদের গর্ভাবস্থায় সকালে হালকা বমি বা অন্য কোন সমস্যা হয় নি তাদের ছেলে হয়েছে। তবে, শিশুটি মেয়ে হলে পেটে ব্যথার সৃষ্টি হয় এবং সকালে শারীরিক অসুস্থতা বেশি বৃদ্ধি পায়।

৩. পেটের অবস্থান

গর্ভাবস্থায় পেট বেশি ভারী মনে হলে, মেয়ে শিশু হবে। আর যদি ভার কম অনুভূত হয় তাহলে ছেলে হবে। শিশুটি যদি পেটের ডানদিকে আছে বলে মনে হয়, তাহলে মেয়ে হবে। আর যদি সমস্ত পেট জুড়ে বা বামদিকে অনুভূত হয় তাহলে ছেলে হবে।

৪. হার্টবিট রেট

ডাক্তারের নিকট চেকআপের সময়, যখন ডাক্তার আপনার গর্ভস্থ শিশুর হৃদস্পন্দন পরীক্ষা করেন তখন লক্ষ্য রাখুন, হৃদস্পন্দনের রেট কত। হৃদস্পন্দন যদি 140 BPM এর বেশি অথবা সমান হয়, তাহলে শিশুটি মেয়ে। আর যদি হৃদস্পন্দনের রেট 140 BPM এর কম হয়, তাহলে গর্ভস্থ শিশুটি ছেলে হবে।

৫. ব্রেকআউট

গর্ভাবস্থায় আপনার ত্বকে কি ব্রণ বা অন্য কোন সমস্যা হচ্ছে, যা আপনার সৌন্দর্য নষ্ট করছে? তাহলে অবশ্যই আপনার মেয়ে হবে। আগের দিনের মানুষ বলত, মেয়ে শিশুরা মায়ের সৌন্দর্য চুরি করে, তাই মায়ের চেহারার সৌন্দর্য নষ্ট হয়। যদিও তা কুসংস্কার।

৬. রিং টেস্ট

একটি আংটি নিয়ে সুতার সাথে বেঁধে নিন। তারপর আপনি শুয়ে আপনার পেটের উপর আংটিটি ঝুলিয়ে দিন। এবার আংটিটির গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করুন। যদি আংটিটি আপনার মাথা ও পায়ের দিকে সমান সমান দুলতে থাকে, তাহলে আপনার মেয়ে হবে। আর যদি রিংটি গোল গোল ঘুরতে থাকে তাহলে আপনার ছেলে হবে।

৭. শিশুদের উপদেশ

গর্ভাবস্থায় থাকা অবস্থায় অনেক আপনজনেরা পেটের সাথে কান লাগিয়ে শিশুটিকে অনুভব করতে চায়। অনেক ছোট ছোট শিশু আছে, যারা পেটের সাথে কান লাগিয়ে কথা বলতে চায়। সেক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখুন, যদি কোন ছেলে শিশু আপনার পেটে কান লাগিয়ে বারবার শিশুটিকে অনুভব করতে চায়, তাহলে আপনার মেয়ে হবে। আর যদি কোন মেয়ে শিশু এ কাজটি করে, তাহলে আপনার ছেলে শিশু হবে।

এই বিষয়গুলো লক্ষ্য করলে আপনি ডাক্তার বলার আগেই বুঝতে পারবেন, কে আসছে আপনার জীবনে রাজকুমারী নাকি রাজপুত্র!

প্রেগন্যান্সির ২২ সপ্তাহ থেকে ২ডি আল্ট্রাসাউন্ড করে বাচ্চার জেন্ডার বোঝা যেতে পারে। তবে বাচ্চার পজিশন/গ্রোথ ভেদে এটি ঠিকভাবে বোঝা নাও যেতে পারে।

৩০ সপ্তাহের মধ্যে মোটামুটি নিশ্চিতভাবে বোঝা যায় যে বাচ্চার জেন্ডার কি। ৩ডি আলট্রাসাউন্ডে অবশ্যই আরও পরিষ্কার দেখা যায়। তাই আমরা সাজেস্ট করব আপনি এই সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।

বাচ্চার জেন্ডার আল্ট্রাসাউন্ডে না বুঝতে পারার কারণ কী?

বেশি দ্রুত আল্ট্রাসাউন্ড করানো

প্রেগন্যান্সির ২২ সপ্তাহ থেকে ২ডি আল্ট্রাসাউন্ড করে বাচ্চার জেন্ডার বোঝা যেতে পারে। তবে বাচ্চার পজিশন/গ্রোথ ভেদে এটি ঠিকভাবে বোঝা নাও যেতে পারে।

৩০ সপ্তাহের মধ্যে মোটামুটি নিশ্চিতভাবে বোঝা যায় যে বাচ্চার জেন্ডার কি। তাই আমরা সাজেস্ট করব আপনি এই সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।

টেকনোলজি

২ডি এর তুলনায় ৩ডি আল্ট্রাসাউন্ডে বেশি পরিষ্কার দেখা যায়। অর্থাৎ লেটেস্ট টেকনোলজি বা ভাল আল্ট্রাসাউন্ড মেশিনে রেজাল্ট অনেকটা ক্লিয়ার দেখা যায়।

মায়ের দেহের ফ্যাট

গর্ভবতী মায়ের পেটে অতিমাত্রায় ফ্যাট থাকলে আল্ট্রাসাউন্ডে পরিষ্কার দেখা যাবে না।এক্ষেত্রে ধৈর্যহারা না হয়ে বরং বাচ্চা ডেলিভারি পর্যন্তই অপেক্ষা করুন। এবং গর্ভাবস্থায় বাড়তি ওজন পরবর্তি স্টেজে ঝুঁকির কারণ হতে পারে তাই ডায়েটিশিয়ান এবং আপনার গাইনোকলজিস্ট এর পরামর্শ নিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণের প্ল্যান করুন।

এমনিয়টিক ফ্লুইড এর পরিমাণ

জরায়ুতে পানি কম থাকলে অনেক ক্ষেত্রেই বাচ্চার জেন্ডার বোঝা যায়না। কারণ মেশিনে তখন ভাল পিকচার আসেনা।

বাচ্চার পজিশন

আল্ট্রাসাউন্ড করাবার সময় গর্ভের শিশু যদি দুপা চেপে রাখে (অর্থাৎ ফাঁক না থাকে) অথবা পায়ের ফাঁকে যদি নাড়ি পেচিয়ে থাকে সেক্ষেত্রে বাচ্চার জেন্ডার বোঝা যাবেনা।

বাচ্চার জেন্ডার না বুঝতে পারলে কী করবেন

কোন ডাক্তারই আপনাকে বাচ্চার জেন্ডার বোঝার জন্য আল্ট্রাসাউন্ড করতে বলবেন না। বরং আপনার প্রেগন্যান্সি কী অবস্থায় আছে, কোন বিপদ চিহ্ন আছে কিনা ইত্যাদি জানাই হচ্ছে আল্ট্রাসাউন্ড করাবার উদ্দেশ্য।

জেন্ডার একবারে বুঝতে না পারায় বারবার আল্ট্রাসাউন্ড করানো ঠিক না। কারণ, এই টেস্ট সরাসরি আপনার কোন ক্ষতি না করলেও আসা যাওয়ার ধকল তো থাকবে। কোন কারণে যদি আবারো জেন্ডার না দেখা যায় তাহলে আপনি অযথাই আরও বেশি টেনশনে পড়ে যাবেন।

শেষ কথা হচ্ছে, গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে তাতে কিছু আসে যায় না। আপনার প্রার্থনা হওয়া উচিৎ আপনি যাতে সুস্থ্য শিশু জন্ম দিতে পারেন এবং তাকে ভাল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন।পড়ুন

Loading...
advertisement
সর্বশেষ সংবাদ
এ বিভাগের সর্বশেষ