চোখের নিচে কালি এক দিনে পড়ে না। অনেক দিনের প্রক্রিয়া এটি। আমাদের অজান্তেই এটি হতে থাকে। কিছুটা খারাপ অবস্থায় চলে যাওয়ার পর নজরে আসে। চোখের কালি পড়ার একটি কারণ হচ্ছে স্ট্রেস। কাজের দুশ্চিন্তা, পারিবারিক সমস্যা, ব্যক্তিগত টানাপোড়েনসহ অনেক কিছুই এখানে মূল নায়ক হিসেবে কাজ করতে পারে। এসব সাময়িক ঝামেলার জন্যই ঘুম ঠিকমতো হয় না। অতিরিক্ত সময় টেলিভিশন দেখাও এর জন্য দায়ী।চোখের নিচে কালো দাগটি হতে যেমন কিছুটা সময় লাগে, তেমনি এটি চেহারা থেকে দূর করতে চাইলেও কিছুদিন সময় দিতে হবে। সঠিক সময়ে ঘুম, পর্যাপ্ত বিশ্রাম এ ক্ষেত্রে অনেকটা জাদুর মতোই কাজ করবে। চেষ্টা করতে হবে মন ভালো রাখার।’
রাতের বেলায় ঘুমোতে যাওয়ার আগে ময়েশ্চারাইজার, আই ক্রিম বা জেল দিয়ে ম্যাসাজ করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে ।চোখের চারপাশে হালকা করে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করতে পারেন। যাঁদের চোখের নিচের কালি গাঢ় হয়ে পড়েছে, তাঁদের একটু বেশি যত্ন নিয়ে কাজটি করতে হবে। আঙুল দিয়ে আলতো করে চোখের চারপাশে ক্লকওয়াইজ তিনবার এবং অ্যান্টি-ক্লকওয়াইজ তিনবার ম্যাসাজ করতে হবে। তখন অবশ্যই চোখ বন্ধ রাখতে হবে। খুব সহজ তিনটি প্যাক ব্যবহার করার উপায় আছে বলে জানান। আলু, শসা ও গমের অঙ্কুর পেস্ট বা গ্রেট করে লাগালে খুব ভালো কাজ করবে। এ তিনটি উপাদান আপনি আলাদাভাবেও চোখের ওপর লাগাতে পারেন আবার একসঙ্গে মিশিয়েও লাগিয়ে রাখতে পারেন। তিনটি উপাদান না পেলে যেকোনো দুটি উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে দিলেও চোখের কালি অনেকাংশেই দূর হয়ে যাবে। সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন ১৫ মিনিট করে লাগালেই হবে। অনেকে চাক চাক করে কেটে লাগাতে চান। তবে এভাবে লাগানোর চেয়ে থেঁতলে লাগালে বেশি ভালো ফল পাবেন।
কারণ, এতে উপাদানগুলোর রস এবং কষ দুটোই পুরোপুরিভাবে ত্বকের সংস্পর্শে আসতে পারে। চোখের আশপাশের কালো ভাবটি দূর করার জন্য বাজারে অনেক ধরনের সামগ্রী পাওয়া যায়। ভালো এবং নামকরা প্রতিষ্ঠানের সামগ্রী এ ক্ষেত্রে অনেকটাই বাঞ্ছনীয়।