ভেনিজুয়েলার সুপ্রিম কোর্টের ওপর হেলিকপ্টার থেকে বন্দুক ও গ্রেনেড হামলার পর দেশটির সেনাবাহিনীকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো এই ঘটনাকে একটি সন্ত্রাসী হামলা বলে বর্ণনা করেছেন। অনলাইনে পোস্ট করা ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় রাজধানী কারাকাসের আকাশে হেলিকপ্টারটি চক্কর দিচ্ছে এবং এরপর বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। একজন পুলিশ কর্মকর্তা একটি পুলিশ হেলিকপ্টার ছিনতাই করে এই হামলা চালায় বলে মনে করা হচ্ছে। ভেনিজুয়েলার নিরাপত্তা পরিস্থিতির যখন ক্রমশ অবনতি হচ্ছে, তার মধ্যেই এই ঘটনা ঘটলো। ছিনতাইকৃত হেলিকপ্টারটি প্রথমে কারাকাসের আকাশে কয়েকবার চক্কর দেয়।
এরপর এটি সুপ্রিম কোর্ট ভবনের ওপর অন্তত দুটি গ্রেনেড ফেলে। ওস্কার পেরেজ নামে এক পুলিশ অফিসার এই ঘটনার কৃতিত্ব দাবি করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা এক ভিডিওতে ওস্কার পেরেজ দাবি করেছেন, সামরিক বাহিনি, পুলিশ এবং অসামরিক অনেক মানুষ তার সঙ্গে আছেন। তিনি তার ভাষায় ভেনিজুয়েলায় স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো গত কিছুদিন ধরেই বেশ রাজনৈতিক চাপের মুখে আছেন। তিনি জানিয়েছেন, শান্তি বজায় রাখতে সশস্ত্র বাহিনীকে ‘সক্রিয়’ করা হয়েছে। এর আগে তিনি হুঁয়িারি দেন যে ভেনিজুয়েলার বিপ্লব যদি বিপন্ন হয়, প্রয়োজনে অস্ত্র দিয়ে তা রক্ষা করা হবে। তবে প্রেসিডেন্টের এই বার্তাকে দেশটির বিরোধী দলগুলো তাদের প্রতি হুমকি হিসেবে দেখছে। গত তিন মাসে ভেনিজুয়েলায় সহিংস বিক্ষোভে অন্তত ৭০ জন নিহত হয়েছে।
খবর - বাসস