এইমাত্র পাওয়া

  • কাপ জিতেই ছাড়ব, জন্মদিনে শপথ মেসির
  • প্রাথমিকে ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জুলাইয়ে, থাকছে ৬০% নারী কোটা
  • ঝালকাঠিতে সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ধ্রুবতারা’র দোয়া ও ইফতার অনুষ্ঠান
  • ঝিনাইদহে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সেমিনার
  • দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে
  • ফাঁটা পায়ের যত্নে কিছু পরামর্শ !!
  • ডায়াবেটিস রোগীরা কি রোজা রাখতে পারবে?
  • ওজন কমাবে কালো জিরা
  • হলুদ দাঁতের সমস্যা সমাধান করুন নিমিষেই
  • কিশিমিশের পানি খেলে যে উপকার পাবেন
Updated

খবর লাইভ

মা হতে চলেছেন? প্রথম ৩ মাস এই বিষয় গুলো মেনে চলুন

30 March 2017 11:03:34 AM 172643252 ভোট:5/5 1 Comments
Star ActiveStar ActiveStar ActiveStar ActiveStar Active
মা হতে চলেছেন? প্রথম ৩ মাস এই বিষয় গুলো মেনে চলুন

প্রথমেই জেনে নিন আপনি প্রেগন্যান্ট কি না। আজকাল প্রেগন্যান্সি কিট কিনতে পাওয়া যায়। তা দিয়ে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। এসব কিট দিয়ে যে পরীক্ষা করা হয় তার মধ্যে প্রায় ৯৫ শতাংশ পরীক্ষাই সঠিক হয় বলে ধরা হয়। তবে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত হতে চাইলে ডাক্তারের পরামর্শে আলট্রাসাউন্ড পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। নিশ্চিত তো হওয়া গেল, এখন জানা যাক পরবর্তী পদক্ষেপগুলো সম্পর্কে।

* একবার পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে গেলে এর পরে থেকে সাবধানে চলাফেরা করুন। এলকোহল, ক্যাফেইন, ধুমপান থেকে দূরে থাকুন, তা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ যেমনই হোক না কেন। কারন এই সময় এসব জিনিস অন্য যে কোন কিছুর থেকেই সবচাইতে বেশি ক্ষতি করে বাচ্চার।

* যেহেতু আপনি অন্তঃসত্ত্বা, তাই আপনাকে সবসময় ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে। অতিসত্বর একজন ডাক্তার নির্বাচন করুন। ডাক্তার নির্বাচন করার আগে কিছু জিনিষ মনে রাখবেন। যেমন- ডাক্তারের সাথে যে কোন সময় যোগাযোগ করা সম্ভব কি না, যে কোন দরকারে তাকে পাওয়া যাবে কি না। সেই সাথে দূরত্বটাও খেয়াল রাখবেন। যেহেতু আপনি অন্তঃসত্ত্বা তাই এ সময় বেশি চলাচল করতে পারবেন না। কেননা তা বাচ্চার জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। তাই ডাক্তারের কাছে অল্প সময়ে যেন পৌঁছানো যায় সেটাও খেয়াল রাখতে হবে।

* অন্তঃসত্ত্বা হবার কারনে শরীরে বেশ কিছু হরমোন পরিবর্তন ঘটে। যার ফলে বমি ভাব, মাথা ঘোরা, খেতে না পারা, শরীর খারাপ ভাব হতে পারে। তবে সবাইকে যে এই সকল পরিস্থিতি পার করতে হয় তাও নয়, অনেক মায়ের মধ্যেই এসবের কোনটি বা কখনও কখনও একটিও উপসর্গ দেখা যায় না। এমন কিছু হলে ভয় পাবেন না, আবার না হলেও ভয় পাবেন না। বেশি বমি হলে সকালে উঠে লেবু পানি খেতে পারেন। আর মাথা বেশি ঘোরালে শুয়ে পড়ুন। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলে ঠিক হয়ে যাবে।

* এছাড়াও হরমোন ঘটিত পরিবর্তনের কারনে এ সময় স্তনের আকারে পরিবর্তন হওয়া শুরু হয় ধীরে ধীরে। সেই কারণে স্তনে ব্যথা হবে ও স্তন নরম হয়ে যাবে। এমনটা হলে ভয় পাবেন না। মনে রাখবেন এই পরিবর্তন আপনার সন্তানের জন্য জরুরি।

* সন্তান গর্ভে ধারণ করার ফলে কিছু শারীরিক পরিবর্তনও ঘটে। যেহেতু সন্তান জরায়ুতে ধারণ করা হয় ও জরায়ুর অবস্থান থাকে প্রসাবের নালীর উপরে, তাই বাচ্চার বৃদ্ধির সাথে সাথে জরায়ু প্রসাবের নালির উপরে কিছু চাপ ফেলে। ফলে প্রসাবের পরিমান বেড়ে যাবে। এই সমস্যা প্রথম ৩ মাস এবং শেষ ৩ মাসের মধ্যেই প্রবল থাকে বেশি।

* এছাড়াও অনেক অন্তঃসত্ত্বা নারীরই রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারো রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে, আবার কারো বা কমে যেতে পারে। সেই সাথে দেখা দিতে পারে সুগারের সমস্যা। তাই সন্তানের গর্ভধারণের পরপর ডাক্তারের পরামর্শে সব কিছুর পরীক্ষা একবার করে নিয়ে দেখতে হবে গর্ভাবস্থা স্বাভাবিক আছে কি না। এমন কোনও সমস্যা দেখা দিলে নিয়মিত চেকআপের মধ্যে থাকতে হবে।

* বুক জ্বালা করা এবং কোষ্ঠকাঠিন্যও হতে পারে অনেক মায়ের। অন্তঃসত্ত্বা নারীর খাবার হজম হতে ও পেট খালি হতে অন্য নারীদের তুলনায় বেশি সময় লাগে, কারন গর্ভস্থ বাচ্চার খাবার থেকে পুষ্টি গ্রহন করতে সময় লাগে একটু বেশি। কিন্তু এই কারণটাই গর্ভবতী নারীর জন্য হয়ে যায় কষ্টের কারণ। এর ফলেই গর্ভবতী নারী শিকার হতে পারেন কোষ্ঠকাঠিন্য ও বুক জ্বালা করা রোগের। ঘাবড়ে যাবেন না। দরকার পড়লে ডাক্তারের পরামর্শে কোন ওষুধ সেবন করতে পারেন।

* এছাড়াও একজন গর্ভবতী নারী গর্ভ ধারণ করেছেন এটা জানার পরে আনন্দিত, উদ্বিগ্ন, প্রফুল্ল ও ক্লান্ত ইত্যাদি সব ধরনের অনুভূতি অনুভব করেন। এত সব কিছু এক সাথে মানিয়ে নেয়াটাও একটা বড় ব্যাপার হয়ে দেখা দেয়। অনেকেই ঠিক মত মানিয়ে নিতে পারেন না নতুন পরিস্থিতির সাথে। ফলে শিকার হন মুড সুইং এর। সেই সাথে নানা রকম “হরমোনাল চেঞ্জ” এর কারণে রাগ বা খারাপ লাগা অনুভুত হতে পারে। এমন কিছু হলে অধিক উত্তেজনা পরিহার করে চলতে হবে। কারণ বেশি উত্তেজনা গর্ভস্থ সন্তানের জন্য ভাল নয়।

* সঙ্গীর সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটু ধৈর্য ধরুন। মনে রাখতে হবে আপনি যেমন মা হচ্ছেন, তেমনই তিনিও বাবা হচ্ছেন। তার কোন ভুল দেখতে পেলে তার সাথে রাগারাগি না করে সাহায্য করুন, সেই সাথে আপনার কোন কিছু খারাপ লাগলে তাকে জানাতে ভুলবেন না।

* মনে রাখবেন আপনি যে কাজ করছেন তা “প্রেগন্যান্সি সেফ” কিনা জেনে নিন। ভারি কোন কাজ একদম করতে যাবেন না। মনে রাখবেন প্রথম তিন মাস খুব সাবধানী হতে হবে কারণ এই তিন মাসেই এবরশনের হার সবচাইতে বেশি থাকে। সেই সাথে এমন খাবার খাবেন না যা বাচ্চার জন্য খারাপ হবে। পেঁপে, আনারসের সাথে সাথে কাঁচা বা আধা সিদ্ধ প্রোটিন যেমন মাছ, মাংস, ডিম এসব পরিহার করে চলতে হবে। প্রোটিন ভালো করে রান্না করে তবেই খাবেন। সেই সাথে গলিত চিজ বা এই জাতীয় খাবারও পরিহার করে চলবেন। প্রথম ৩ মাস খেতে কষ্ট হয়, কিছু খেতে ইচ্ছা করেনা তাও বাচ্চার কথা চিন্তা করে যতটা সম্ভব ততটা স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

* ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক কোন ওষুধ খাবার থাকলে তা খাবেন। এমনকি গ্যাসের সমস্যা বা মাথা ব্যাথা বা জ্বর হলেও ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খেতে যাবেন না। এতে বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে।

* ঘুমের সময় বাড়িয়ে দিন। দিনে ৮ থেকে ১০ ঘন্টা করে ঘুমানোর চেষ্টা করবেন। এছাড়াও সারাদিনের কাজের ফাঁকে ফাঁকে হালকা বিশ্রাম নিতে পারেন।

মনে রাখবেন সন্তান সবার কাছেই মূল্যবান। সবাই চাইবে সুস্থ সন্তানের জন্ম দিতে। তাই কষ্ট হলেও সন্তানের ভালোর জন্য সাবধানে সবকিছু মেনে চলার চেষ্টা করুন। সেই সাথে নিয়মিত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ রাখুন। বিস্রামে থাকুন, উত্তেজিত থাকবেন না, সেই সাথে উদ্বেগ না হয় এমন কিছু করবেন না ও ভয় পাবেন না। সব থেকে বড় কথা হল নিজের খেয়াল রাখুন। আপনি ভাল থাকলেই আপনার সন্তানও ভাল থাকবে।

সূত্র: প্রিয় লাইফ

Loading...
advertisement
সর্বশেষ সংবাদ
এ বিভাগের সর্বশেষ