কয়েক বছর ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে একটি আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর স্থাপন করার বিষয়ে আলোচনা হয়ে আসছে। কিন্তু কোথায় হবে এই বিমানবন্দরটি সে বিষয়ে কোন তথ্য জানা যায়নি। অবেশষে জানা গেল ঢাকা বিভাগেই নির্মিত হতে যাচ্ছে বিমানবন্দরটি। তবে ঠিক কোথায়, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঢাকাতেই নির্মিত হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। বিমানবন্দরটি নির্মাণের জন্য জায়গা খোঁজার কাজ শেষ। বাছাইকৃত সংক্ষিপ্ত তালিকা থেকে একটি জায়গাকে বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য নির্বাচন করা হবে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীর প্রশ্নের জবাবে আজ ২২ শে ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকাকে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যে বিমান চলাচলের হাব হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বপ্নের এই প্রকল্পটির সমীক্ষা চালাতে ২০১৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বর জাপানের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিপ্পন কই নামের কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ১ অক্টোবর থেকে তারা কাজ শুরু করেছে। ইতোমধ্যে জরিপের মাধ্যমে জায়গা নির্বাচনের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা জানান, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে দ্রুত যাতায়াতের জন্য বাগেরহাটে খানজাহান আলী বিমানবন্দর নির্মাণ করতে প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এখন বিমানবন্দরের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে।
মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর নতুন বিমানবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। প্রথমে বিমানবন্দর স্থাপনের জন্য মুন্সীগঞ্জের আড়িয়ল বিলকে নির্ধারণ করা হয়। এরপরই ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে স্থানীয়দের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় এক পুলিশ সদস্য প্রাণ হারান। পরে আড়িয়াল বিলে বিমানবন্দর নির্মিত হবে না বলে ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একপর্যায়ে প্রকল্পটি তার গতি হারায়। ২০১৬ সালের মাঝামাঝি থেকে বঙ্গবন্ধু বিমানবন্দর নির্মাণ প্রকল্পের বিষয়ে নতুন করে তৎপরতা শুরু হয়।
সম্ভাব্য চারটি জায়গা: বঙ্গবন্ধু বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য চারটি স্থানে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের খবর শোনা গিয়েছিল। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়া সেই চারটি স্থান হলো, মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার চর জানাজাত, মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কেয়াইন ও লতব্দি। এছাড়াও তালিকায় রয়েছে ঢাকার দোহারের চর বিলাসপুর।
বিমান মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য প্রাথমিক তালিকায় ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার চর বিলাসপুর, ঢাকার পাশ্ববর্তী মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কেয়াইন, জেলার লতব্দি, গজারিয়া ছিল। এছাড়াও মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর, মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার চর জানাজাত ও রাজৈর, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার বাঘিয়ার বিল এবং ফরিদপুরের ভাঙ্গা বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য বিবেচনা করা হয়েছিল। পরে সেখান থেকে উল্লেখিত চারটি স্থান বেছে নেয়া হয়।
-২৪লাইভনিউজপেপার