আগামী ৩ দিনের মধ্যে থানা বিএনপির কমিটিতে যাদের নাম অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে তাদের বাদ না দিলে দলীয় পদ থেকে গণপদত্যাগ করা হবে। কথাটি বললেন পাইকগাছা উপজেলা ও ইউনিয়ন কমিটির নেতৃবৃন্দ। রবিবার সকালে পাইকগাছা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির সমন্বয়ে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, চলতি বছরের ২২ ফেব্র“য়ারি জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে পাইকগাছা থানা সম্মেলন প্রস্তুতি আহবায়ক কমিটি প্রকাশ করা হয়। উক্ত কমিটি এক বছরের মধ্যে জেলা নেতৃবৃন্দ ৫ বার সংযোজন-বিয়োজন করেন। যা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। গত ২২ ডিসেম্বর পাইকগাছা দলীয় কার্যালয়ে জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে থানা, পৌর ও ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ থানা আহবায়ক কমিটিতে আরও কয়েকজনের নাম অন্তর্ভূক্তির প্রস্তাব করলে থানা বিএনপির আহবায়কসহ সকলে প্রস্তাব নাকোচ করে দেন। কিন্তু গত ২৪ ডিসেম্বর খুলনা জেলা বিএনপির কতিপয় নেতৃবৃন্দ থানা বিএনপির আহবায়ক কমিটিতে দলের বিশৃংখলা সৃষ্টিকারী, বহিস্কৃত, নিস্ক্রীয় ১০জনকে অন্তর্ভূক্ত করে একটি আঞ্চলিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে। এ সংবাদে থানাসহ ১০ ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ ফুঁসে উঠেছে। গতকাল প্রতিবাদ সভায় প্রতি ইউনিয়নের আহবায়ক, যুগ্ম আহবায়ক ও থানা কমিটির নেতৃবৃন্দ ঘোষণা করেন আগামী ৩ দিনের মধ্যে উক্ত ১০জনকে থানা কমিটি থেকে বাদ না দিলে তারা স্ব-স্ব পদ থেকে পদত্যাগের হুমকি দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, থানা আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক শাহাদাৎ হোসেন ডাবলু, এস,এম, এনামুল হক, সরদার আব্দুল মতিন, শেখ ইমামুল ইসলাম, শেখ আনারুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম সানা, নাজির আহমেদ, সরদার তোফাজ্জেল হোসেন, প্রণব কান্তি মন্ডল, আনারুল কাদির, আবুল বাশার বাচ্চু, হাবিবুর রহমান, গাজী আমিনুল ইসলাম বাহার, মশিউর রহমান, বাবর আলী গোলদার, আবু মুছা সরদার, আসাদুজ্জামান ময়না, সুলতান আহমেদ, ইউনুছ আলী, বি.এম. আকিজুদ্দীন, কাজী সাজ্জাত আহমেদ মানিক, সন্তোষ কুমার গাইন, কিশোরী মোহন মন্ডল প্রমুখ।