মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বরতা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে আজ (সোমবার) বাংলাদেশে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচি পালন করেন।বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচিতে অংশ নেন। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, "মিয়ানমারের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যে নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চলছে। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে আমরা মানবতাবিরোধী এমন ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।"
হত্যা-নির্যাতন বন্ধ না হলে শিক্ষার্থীরা ঢাকাস্থ মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাওয়ের হুমকি দেন। এছাড়া রোহিঙ্গাদের ওপর পরিচালিত নির্যাতন বন্ধে ও দেশটিতে স্থায়ীভাবে তাদের বসবাসের ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর হস্তক্ষেপ কামনা করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শান্তিতে নোবেল জয়ী মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচির নোবেল পদক কেড়ে নেয়ারও দাবি জানান।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, আমরা আন্দোলন করছি, কাল বুয়েট করবে, পরশু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় করবে, তার পর যেন সব জায়গা থেকেই আন্দোলন জোরদার করা হয়, এমন স্বপ্নই দেখি আমরা। মানবতা মুক্তি পাবেই।
কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, "মিয়ানমারে গণহত্যা চললেও আন্তর্জাতিক মহল নীরব ভূমিকা পালন করছে।"
গত মাস থেকে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর নতুন করে হামলা শুরু করেছে দেশটির সশস্ত্র বাহিনী। গত কয়েক সপ্তাহে সেখানে শত শত মুসলমানকে হত্যা করা হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র খবর দিয়েছে। কিন্তু মানবাধিকারের দাবিদার পশ্চিমা বিশ্ব এ বিষয়ে নীরব রয়েছে।
অমুসলিম দেশে সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর হত্যা-নির্যাতনের বিষয়ে জোরালো কোনো পদক্ষেপ এখনও চোখে পড়ছে না। যদিও পশ্চিমা দেশগুলো সংখ্যালঘু ইস্যুসহ নানা অজুহাতে মুসলিম দেশগুলোর ওপর চাপ প্রয়োগ করে থাকে।