মাতৃত্ব অভিজ্ঞতা করার থেকে ভাল আর কোন অনুভবই হতে পারে না। বেদনা আর পাওয়া এই নিয়েই মাতৃত্ব, যেখানে আপনাকে প্রতিদিন স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যা নিয়ে জুজতে হয়। সন্তানের জন্মের ঠিক পরেই আপনার মনে হয় যে আপনার জীবন যেন ফের এক লাফে স্বাভাবিক পথে ফিরে এলো। কিন্তু দাঁড়ান, আপনি কি লক্ষ্য করেছেন, যে একটি থলথলে পেটের সাথে আপনার ত্বক ঝুলে পড়েছে? শেষ ৯ মাসে আপনার পেট তার সীমা পর্যন্ত বেড়ে গেছিল আর এখন, যখন শিশু চলে এসেছে, তখন আপনার পেটও হয়তো ভেতরদিকে সংকুচিত এবং ছোট হয়ে এসেছে। ঝুলে পড়া ত্বক এর স্থিতিস্থাপকতা হারিয়ে ফেলে এবং এতে একজন মহিলাকে তার আসল বয়সের তুলনায় বয়স্ক দেখায়। একজন নারী তার ৯ মাসের গর্ভাবস্থায় হরমোনের যে পরিবর্তনগুলির মধ্যে দিয়ে যায়, এ তারই ফল। আচ্ছা! আপনার যদি মনেহয় শিশুর জন্মের পর আপনার ত্বক ধুলে পড়েছে, তবে এখানে তার উপশমের জন্য কিছু উপায় দেওয়া থাকল। দেখে নেওয়া যাক।
১. জল পান করা বাড়িয়ে দিন জল আপনার শরীরের সাথে সাথে ত্বকের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। ঝুলে পড়া ত্বকের প্রতিবিধানে, একটি সহজ ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিকার হল জল পান করা বাড়িয়ে দেওয়া। শরীর থেকে টক্সিন পদার্থকে দূর করতে ও ত্বককে মজবুত করার জন্য জল একটি অত্যাবশ্যক উপাদান। প্রচুর পরিমাণে জল খেলে তা শরীরের অতিরিক্ত কিছু ক্যালোরিকে বার্ন করতে সাহায্য করে আর এইভাবেই আপনার ত্বককেও উজ্জ্বল ও দৃঢ় রাখে।
২. বেশি পরিমাণে প্রোটিন খান বেশি পরিমাণে প্রোটিন খেলে তা শরীরে প্রয়োজনীয় পেশির বৃদ্ধিতে সাহায্য করার মাধ্যমে ত্বকের স্থত্তিস্থাপকতাকে উন্নত করতেও সাহায্য করে। সাধারণভাবে বলতে গেলে, প্রোটিনে কোলাজেন রয়েছে, যা ত্বককে দৃঢ় করতে ও এর গঠনবিন্যাসকে উন্নত করতে সাহায্য করে।
৩. ত্বককে এক্সফলিয়েট করুন ত্বককে মজবুত ও অনেক সময় ধরে দৃঢ় রাখার একটি সহজ উপায় হল, ত্বককে এক্সফলিয়েট (ঘষে ওপরের মৃত কোষের পরত তুলে ফেলা) করা। মহিলারা পেট এবং স্তনের অংশে ঝুলে পড়া ত্বকের সমস্যার সম্মুখীন হয়, যার কিনা প্রতিকারের সহজ উপায়, একটি স্ক্রাবের সাহায্যে ঐ নির্দিষ্ট জায়গা এক্সফলিয়েট করা। স্ক্রাবিং শুধুমাত্র মৃত কোষ দূর করতেই সাহায্য করে না, বরং ঐ নির্দিষ্ট অঞ্চলে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দিতে সহায়ক হয়। আর এইবভাবেই ত্বকের ঝুলে পড়াও প্রতিরোধ করে।
৪. ত্বকের ঝুলে পড়ার উপশমে ব্যায়াম সাহায্য করে নিস্তেজ ও ঝুলে পড়া ত্বকের প্রতিকারে আপনাকে নিয়িমিত ব্যায়াম করতে হবে। স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বল ত্বক পেতে, যোগা ও কিছুক্ষণের হাঁটাও আপনাকে সাহায্য করবে। সদ্য শিশুর জন্ম দিয়েছেন এমন মহিলাদের কমপক্ষে ১ বছরের জন্য জিম জয়েন করা উচিৎ না, কারণ এটা তার শরীরের সাথে সাথে ত্বকের পক্ষেও ক্ষতিকর প্রমাণিত হতে পারে। তারচেয়ে আপনি ঘরেই কিছু অ্যারোবেটিক বা কার্ডিয়ো এক্সারসাইজ করতে পারেন। এছাড়াও মাত্র ৩০ মিনিটের যোগা বা ব্রিদিং এক্সারসাইজ, শরীরে রক্ত সঞ্চালন উদ্দীপিত করতে যথেষ্ট। নিয়মিত ব্যায়াম, শরীরকে নতুন কোষ দিয়ে পুরানো কোষকে প্রতিস্থাপন করার সুযোগ করে দেয়। সেইসব ব্যায়ামে মনযোগ দিন যেগুলি আপনার পেটের পেশিগুলিতে দৃঢ়তা আনবে।
৪. ত্বকের ঝুলে পড়ার উপশমে ব্যায়াম সাহায্য করে নিস্তেজ ও ঝুলে পড়া ত্বকের প্রতিকারে আপনাকে নিয়িমিত ব্যায়াম করতে হবে। স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বল ত্বক পেতে, যোগা ও কিছুক্ষণের হাঁটাও আপনাকে সাহায্য করবে। সদ্য শিশুর জন্ম দিয়েছেন এমন মহিলাদের কমপক্ষে ১ বছরের জন্য জিম জয়েন করা উচিৎ না, কারণ এটা তার শরীরের সাথে সাথে ত্বকের পক্ষেও ক্ষতিকর প্রমাণিত হতে পারে। তারচেয়ে আপনি ঘরেই কিছু অ্যারোবেটিক বা কার্ডিয়ো এক্সারসাইজ করতে পারেন। এছাড়াও মাত্র ৩০ মিনিটের যোগা বা ব্রিদিং এক্সারসাইজ, শরীরে রক্ত সঞ্চালন উদ্দীপিত করতে যথেষ্ট। নিয়মিত ব্যায়াম, শরীরকে নতুন কোষ দিয়ে পুরানো কোষকে প্রতিস্থাপন করার সুযোগ করে দেয়। সেইসব ব্যায়ামে মনযোগ দিন যেগুলি আপনার পেটের পেশিগুলিতে দৃঢ়তা আনবে।
৬. লোশন দিয়ে মাসাজ করুন ভিটামিন-ই, সি ও কে সমৃদ্ধ বেবি ক্রিমের ব্যবহার ঝুলে পরা ত্বকের উপাচার করতে সাহায্য করে। আপনার পেট বা ত্বকের যে জায়গাগুলিতে আপনি ঝুলে পড়া ত্বক দেখবেন, সেইসব জায়গায় ঐ ভিটামিন সমৃদ্ধ ক্রিম মাসাজ করুন। যখন আপনি এই ধরণের লোশন দিয়ে ত্বক মাসাজ করেন তখন তা আপনার শরীরে রক্তের সঞ্চালন বাড়িয়ে তোলে আর এইভাবেই আপনার ত্বককেও দৃঢ় করে তোলে। শিথিল অংশগুলিকে দিনে ১ থেকে ২ বার মালিশ করার চেষ্টা করুন।
৭. স্ট্রেংথ ট্রেনিং আপনার নিয়মিত ব্যায়ামের মধ্যে স্ট্রেংথ ট্রেনিং-কেও অন্তর্ভূক্ত করতে হবে, যেহেতু এটি আপনার ত্বককে দৃঢ় করার সাথে সাথে ত্বকের ঝুলে পড়া প্রতিরোধেও সাহায্য করে। স্ট্রেংথ ট্রেনিং পেশির সংকোচনকে উদ্দীপিত করে যা শক্তি গড়ে তুলতে ও পরবর্তী সময়ে শরীরে নতুন কোষ ও কলা উৎপাদনে সাহায্য করে। ৮. মন সুস্থ রাখুন যখন আপনি ঐ ঝুলে পড়া ত্বককে দৃঢ় করে তুলতে সক্ষম হবেন না তখন তা হতাশাজনক হতে পারে এবং আপনি হয়তো মানিসিক চাপ ও বিষণ্ণতা অনুভব করতে পারেন। আপনার পথে হতাশা আসতেই পারে, কিন্তু এই পরিস্থিতির সাথে শান্ত মনে মোকাবিলা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার শরীর ও মনকে বিশ্রাম দিন, কারণ ধৈর্য্যই মূল চাবকাঠি। আপনি মাত্র কয়েকদিনেই দৃঢ় ত্বক পেয়ে যেতে পারবেন না।