আগামী ৪ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চতুর্থ আসর। অংশ নিচ্ছে সাতটি দল।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স মাশরাফি বিন মুর্তজাকে আগেই দলে রেখে দেয়। ‘এ’ প্লাস গ্রেডের ক্রিকেটার মাশরাফির পারিশ্রমিক ৫০ লাখ টাকা। পুরোনো ক্রিকেটারদের মধ্যে এ দলে আছেন লিটন কুমার দাস ও ইমরুল কায়েস। গত আসর লিটন কুমিল্লা হয়ে দ্যুতি ছড়াতে পারেননি। তবুও এবার তার ওপর আস্থা রাখছে কুমিল্লা।
সেই সঙ্গে তরুণ ক্রিকেটারদের ওপর আস্থা রেখেছে কুমিল্লা। আল-আমিন জুনিয়র, নাজমুল হোসেন, নাহিদুল ইসলাম, সৈকত আলী ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে দলে নিয়েছে চ্যাম্পিয়নরা। আল-আমিন জুনিয়র সর্বশেষ ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ১৬ ম্যাচে ৬৭২ রান করেছিলেন। পাশাপাশি এইচপি ক্যাম্পেও দারুণ পারফরম্যান্স করেছেন। সদ্য অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলেছিলেন শান্ত ও সাইফউদ্দিন। মাশরাফি ভরসা রেখেছেন দুই সিনিয়র ক্রিকেটার মোহাম্মদ শরীফ ও নাবিল সামাদের ওপর।
বিদেশি ক্রিকেটারদের সধ্যে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স গত আসরের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হওয়া আসহার জাইদিকে আগেই দলে নিয়েছে। গত আসরেও এ দলে খেলেছেন জাইদি। দুই শ্রীলঙ্কান নুয়ান কুলাসেকারা ও থিসেরা পেরেরাও আছেন এ দলে। এ ছাড়া পাকিস্তানের সোহেল তানভির ও ইমাদ ওয়াসিমকেও নিয়েছে পাকিস্তান। বাঁহাতি স্পিনার ইমাদ সম্প্রতি বল হাতে দারুণ পারফরম্যান্স করেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩ ম্যাচে নিয়েছেন ৯ উইকেট। আফগানিস্তানের লেগ স্পিনার রশীদ খানও আছেন এ দলে। বাংলাদেশ সিরিজে দারুণ পারফরম্যান্সের পুরস্কার পেয়েছেন এ আফগান ক্রিকেটার।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেস অলরাউন্ডার জেসন হোল্ডারকেও দেখা যাবে চ্যাম্পিয়ন দলের জার্সিতে। সব মিলিয়ে স্কোয়াডটি বেশ শক্তিশালী হয়েছে। সব মিলিয়ে কেমন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস দল-
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস :
মাশরাফি বিন মুর্তজা (আইকন),
ইমরুল কায়েস,
লিটন কুমার দাস,
মোহাম্মদ আল আমিন,
নাজমুল হাসান শান্ত,
নাহিদুল ইসলাম,
মোহাম্মদ সাঈফউদ্দিন,
মোহাম্মদ শরীফ,
নাবিল সামাদ,
জসিম উদ্দীন,
সৈকত আলী,
রাসেল আল মামুন (বাংলাদেশ);
বিদেশি খেলোয়াড়ঃ
সোহেল তানভীর (পাকিস্তান),
ইমাদ ওয়াসিম (পাকিস্তান),
আসহার জাইদি (পাকিস্তান),
নুয়ান কুলাসেকারা (শ্রীলঙ্কা),
থিসারা পেরেরা (শ্রীলঙ্কা),
খালিদ লতিফ (পাকিস্তান),
শাহজীব হাসান (পাকিস্তান),
জেসন হোল্ডার (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)।
উল্লেখ্য, আইপিএলের নিলামের সঙ্গে খেলোয়াড় ড্রাফটের পার্থক্য আছে। এখানে ভিত্তি মূল্যেই খেলোয়াড়েরা বিক্রি হয়েছেন। বেশি দামে কিনে নেওয়ার সুযোগ ছিল না। শুধু লটারি করে যে দলের নাম আগে উঠেছে, তাতে নির্দিষ্ট বিভাগ থেকে পছন্দের খেলোয়াড় সবার আগে বেছে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। এভাবেই চলেছে পুরো প্রক্রিয়া।