বাড়তি ওজন নিয়ে আমরা অনেকেই বিব্রত। অতিরিক্ত মেদ কমাতে চান অনেকেই। কিন্তু তার জন্য ওয়ার্কআউটে বা কোনওরকম কসরত করতে নারাজ। সারাদিনের ব্যস্ততার পর জিমে যেতে কারই বা ভালো লাগে। কিন্তু জিম না করে কী করে অতিরিক্ত ওজন কমাবেন ?
সামনেই পুজো। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে শপিং। কিন্তু নতুন জামা কিনতে গিয়ে মন খারাপ হয়ে গেল। আপনার পছন্দের জামা পাওয়া যাচ্ছে না।কারণ আর কিছুই না। পুরনো সাইজ আপনার আর গায়ে আঁটছে না। পুজোর আগে মোটা হতে কারই বা ভালো লাগে। কিন্তু কাকেই বা দোষ দেবেন। সারাদিন অফিসে বসে কাজ আর বাইরে খাওয়া। মোটা তো হবেনই। তবে মন খারাপ করবেন না। পুজোর আগে হাতে তো কয়েক সপ্তাহ রয়েছে। এই কটা দিন কয়েকটি নিয়ম মেনে চলুন তাহলেই কেল্লাফতে।
সব থেকে প্রথমে ঠিক করুণ আপনি কতটা ওজন কমাতে চান। প্রতিদিনের একটি ডায়েট চার্ট বানান। একটা মাস এই চার্ট অনুযায়ী খেতে হবে । নির্দিষ্ট সময় সঠিক পরিমাণ খাবার খেলেই রোগা হওয়া থেকে আপনাকে কেউ আটকাতে পারবে না। তবে ডায়েট চার্ট বানানোর সময় এই কয়েকটা জিনিস মনে রাখবেন -
১. সকালে উঠে খালি পেটে গরম জলে পাতি লেবুর রস খান।
২. পেট খালি না রাখার চেষ্টা করবেন। প্রত্যাক দু’ঘণ্টা পর পর অল্প কিছু খাবার খান।
৩. ব্রেকফাস্ট দিনের মধ্যে সব থেকে জরুরি। আমরা অনেকেই ব্রেকফাস্ট স্কিপ। এটা শরীরের পক্ষে খুব ক্ষতিকারক। না খেয়ে রোগা হওয়া যায় না। বরং এতে ফল বিপরীত হয়। অনেকক্ষণ খালি পেটে থাকার পর খাবার খেলে ওজন বেড়ে যায়। কারণ আমার খিদের চোটে পরিমাণের চেয়ে বেশি খেয়ে ফেলি।
৪. পেট ভরে ব্রেকফাস্ট করুণ।
৫. প্রচুর পরিমাণ জল খাবেন। দিনে ৫ লিটার জল মাস্ট। বেশি পরিমান জল খেলে শরীর থেকে টক্সিন বের হয়ে যায়।
৬. ফল ও সবজি খান।
৭. কফি বা চা খেলে চিনি ছাড়া খান। গ্রিন টি খেতে পারলে সব থেকে ভালো। এতে স্কিনও ভালো থাকে।
৮. কার্ব জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। বাঙালিদের আবার ভাত না হলে চলেই না। তবে ভাতের বদলে রুটি খেতে পারলে ভালো হয়। তবে রুটি মানে হাতে করা দুটি রুটি। তার বেশি নয়। আর একান্ত ভাত খেতে হলে ব্রাউন রাইস খান৷
৯. রান্নাতে সর্ষের তেলের বদলে অলিভ অয়েল ব্যবহার করুণ।
১০. কোল্ড ড্রিঙ্ক মিষ্টি, আইসক্রিম, চকোলেট একদম স্ট্রিক্ট নো নো।
১১. দই ও স্যালাড খান। খিদে পেলে স্যুপ খান। এতে পেটও ভরবে অথচ ওজন বাড়ার চিন্তা থাকবে না।
১২. রাত আটটার মধ্যে ডিনার সেরে ফেলার চেষ্টা করুণ। যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে ডিনার করার পরই শুয়ে পড়বেন না। ডিনার করার পর অন্তত একঘণ্টা পর ঘুমোতে যাবেন।
১৩. অফিসে বাড়ি থেকে বানানো খাবার নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুণ।
তবে একটা কথা মাথায় রাখবেন। কোনও কিছু হঠাৎ করে শুরু না করায় ভালো। ডায়েট শুরু করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিন। অফিস যাওয়ার সময় রিক্সার বদলে হেঁটে যান। অফিসে লিফটের বদলে শিঁড়ি ব্যবহার করুণ। কাজের ফাঁকে গোটা অফিসে একবার হেঁটে নিন।