টেকনাফে চালকের প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে সংসার ভাঙ্গতে যাচ্ছে ১গৃহবধুর। ঐগৃহবধু ১কন্যা সন্তানের জননী বলে জানাগেছে। পলায়নের সময় গতিবিধি সন্দেহ এবং বিশেষ সংবাদের ভিত্তিতে হোয়াইক্যং হাইওয়ে পুলিশ প্রেমিক জুটিকে আটক করেছে। ১০সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টার দিকে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির সামনে ঘটনাটি ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সুত্র জানায়, হোয়াইক্যং ইউনিয়নের দক্ষিণ কাঞ্জরপাড়া এলাকার জিয়াবুল হকের স্ত্রী সেলিনা আক্তার স্বামীর মালিকানাধীন গাড়ীর ড্রাইভার রামু ধেছুয়াপালং এলাকার আবু তাহেরের পুত্র সাহাব উদ্দিনের সাথে পালিয়ে গেলে ২দিন পর স্বামী এবং স্থানীয় গফফার মেম্বার কক্সবাজার থেকে উদ্ধার করেন। প্রেমিক গাড়ী চালককে আটক করে স্বামী-স্ত্রী ও নিকটাত্মীয়রা কক্সবাজার থেকে নোহা যোগে বাড়ীতে আসার পথে হোয়াইক্যং বিজিবি চেকপোষ্ট এলাকায় পৌঁছলে প্রেমে হাবুডুবু খাওয়া গৃহবধুর চিৎকারে বিজিবির ধাওয়ায় গাড়ীটি দ্রুত হোয়াইক্যং ষ্টেশনের দিকে চলে আসে। তৎক্ষণাৎ বিজিবি হাইওয়ে পুলিশকে খবর দিলে হাইওয়ে পুলিশ গাড়ি সহ তাদের নিজ হেফাজতে নেয়। স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, সেলিনা আক্তার এবং জিয়াবুল হকের মধ্যে ২০১০সালে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে জিফা মনি নামের ২বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ঘটনাটি এলাকায় হাস্যরসের সৃষ্টি হলেও চালকের প্রেমে পড়া গৃহবধু দাবী করেন, তিনি বৈধভাবে ড্রাইভার সাহাব উদ্দিনকে বিয়ে করেছেন।
কাঞ্জরপাড়া এলাকার মেম্বার আব্দুল গাফফার সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গৃহবধু সেলিনা চালকের প্রেমে পড়ে কক্সবাজার পালিয়ে গেলে স্বামী জিয়াবুল তাদের আটক করে আমাকে খবর দেয়। পরে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা হবে মর্মে প্রেমিক ড্রাইভার সহ তাদেরকে এলাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়িতে আইসি মাসুদ মুনশীর নেতৃত্বে স্থানীয় মেম্বারদের নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সালিশী বৈঠক চলছে।