১৫ জানুয়ারি শাহগরিবুল্লাহ (রাঃ) এর ৭৬ তম ইছালে ছাওয়াব
প্রতিবারের ন্যায় এবারেও হাতীবান্ধা শাহগরিবুল্লাহ (রাঃ) এর ৭৬ তম ইছালে ছাওয়াব ১৫ জানুয়ারি লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় অনুষ্ঠিত হবে। সাবেক সাংসদ জয়নুল আবেদীনের সভাপতিত্বে দেশের খ্যাতিমান মাওলানারাগন এখানে ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন দিক নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখবেন। এবারের ইছালে ছাওয়াব উপলক্ষে সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
মাজার প্রাঙ্গণের ওয়াজ মাহফিলের স্টেজ, শাহগরিবুল্লাহ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মুসল্লিদের জন্য রান্নাবান্না এবং এসএস উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন ধরনের দোকান পাঠের জন্য বরাদ্দ।
শাহগরিবুল্লাহ (রাঃ) এর ভক্ত ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা ইছালে ছাওয়াবে গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগী, চাল-ধান ও নগদ অর্থ দান করে থাকেন।
ইতিমধ্যে কনকনে শীত ও কুয়াশা উপেক্ষা করে বাস-ট্রাক, কার-পিকআপসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে দলে দলে ব্যবসায়ীরা ইতিমধ্যে ইছালে ছাওয়াবস্থলে আসছেন।
রবিবারই ইছালে ছাওয়াবের বিশাল মাঠে লাখো মুসল্লী জমায়েত হওয়া সম্ভাবনা আছে আর বাদ মাগরিব থেকেই মুসল্লীদের মাঝে হেদায়েতী ওয়াজ শুরু হবে। ভোরের দিকে আখেরি মুনাজাত এবং তবারক বিনিময়ের মাধ্যমে এর সমাপ্তি হবে।
স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যায়ের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার হাজার হাজার মানুষ বাস, প্রাইভেট কার, ট্রাক, লেগুনাসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে ইছালে সভাস্থলে সমবেত হবেন। ভারত থেকে প্রতি বছরে শতশত মানুষকে এখানে আসতে দেখা যায়। আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত এটি অব্যাহত থাকবে।
শাহগরিবুল্লাহ মাজার কমিটির উদ্যোগে প্রতিবছর এ ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ২০ একর এলাকাজুড়ে বিস্তৃত ওয়াজ মাহফিলের মাঠে শাহগরিবুল্লাহ (রাঃ) এর অনুসারী ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা অংশ নেন। তারা এখানে দেশের শীর্ষ আলেমদের ওয়াজ শুনেন এবং ইসলামের দাওয়াতি কাজ দেশব্যাপী পৌঁছে দেয়ার জন্য জামাতবদ্ধ হন।
প্রতিবছরের ন্যায় এবারও স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ও কলকারখানার শ্রমিক-মালিকসহ বিভিন্ন পেশার মুসলমান ধর্মাবলম্বীরা ইছালে ছাওয়াবের মাঠে প্রস্তুতিমূলক কাজ সম্পন্ন করছেন।
হাতীবান্ধা থানার অফিসারস ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম জানান, ওয়াজ মাহফিলের মাঠের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য পুলিশ এবার নিরাপত্তাকর্মী কাজ করবেন। সভাস্থল, এসএস স্কুল মাঠ, হাইওয়ে রোডসহ পুরো এলাকাউ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কঠোর নজরদারির মাধ্যমে কাজ করবেন। এছাড়াও মাঠের ভেতরে সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত পুলিশ থাকবে।
ইছালে ছাওয়াবকে ঘিরে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মুসল্লিরা আসবেন। আগত মুসল্লিদের উদ্দেশে ওসি বলেন, তারা কোনো সমস্যায় পড়লে যেন পুলিশের শরণাপন্ন হন!
লালমনিরহাট প্রতিনিধি/শাহিনুর ইসলাম প্রান্ত/