১. বসা অবস্থায় হিপ ব্যায়াম :
আপনার প্রত্যাশা অনুযায়ী ফ্যাট কমানোর জন্য স্বয়ংক্রিয় মেশিনে ওজনের সাহায্যে হিপ ব্যায়াম করলে তেমন কোনো লাভ হবে না। ওজন কমানোর জন্য এই ব্যায়াম না করায় ভালো।
২. স্কোয়াটসঃ
উরু শক্ত করার জন্য স্কোয়াটস খুবই কার্যকরী ব্যায়াম। শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কাটানো বা ওজন কমানোর জন্য এই ব্যায়াম তেমন কার্যকরী নয়। এই ব্যায়ামে উরু এবং নিতম্বের অংশটুকু আরো বড় দেখাবে। এই ব্যায়ামে হাতে বেশি ওজন ব্যবহার করলেও শরীরের মেদ/ ফ্যাট কমাতে তেমন কোনো সাহায্য করে না।
৩. শরীর বাঁকানোঃ
ডাম্বেল বা ওজন জাতীয় কিছু নিয়ে শরীর বাঁকানোর ব্যায়ামও করা হয়। এই ব্যায়ামে পেটের সারফেস এরিয়া বেড়ে যায় ফলে কোমরের অংশটুকু খানিকটা সরু হয়। ফ্যাট কমানোর জন্য হাতে ওজন ছাড়াই শরীর বাঁকানোর ব্যায়াম করতে হবে।
৪. পুশ আপঃ
পুশ আপ খুব সহজ এবং কমন একটা ব্যায়াম। এই ব্যায়ামে কোনো যন্ত্রপাতি লাগে না। পুশ আপের সময় সাধারণত হাতের তালুতে ভর দিয়ে ওঠা নামা করা হয়। তবে এতে হাতের এবং কাঁধের পেশী শক্ত হওয়া আর ফুলে যাওয়া ছাড়া শরীরের ওজন কমানোর কাজে কোন লাভ পাওয়া যায় না।
পুশ আপের সময় হাতের তালুতে ভর না দিয়ে দুই হাত কনুই পর্যন্ত মেঝেতে রেখে পুশ আপ দিলে ওজন কমতে পারে।
৫. ব্যাক এক্সারসাইজঃ
ব্যাক এক্সারসাইজে পিঠের অংশটা আরো বেশি প্রসস্থ হয়। ব্যাক এক্সারসাইজ খুব কঠিন একটা ব্যায়াম, এটা ঘন ঘন না করায় ভালো।
সপ্তাহে ১-২দিন এই এক্সারসাইজ করা যেতে পারে, হালকা ওজনের সাহায্য নিয়ে এই ব্যায়াম করলে পিঠের পেশিগুলো আরো শক্তিশালী হবে। ব্যাক এক্সারসাইজের একটা সুবিধা হচ্ছে এতে শুধু পেশীই শক্তিশালী হবে, পেশীর ওজন বাড়বে না।