শীত কালে গলা ব্যথা হওয়া যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। একটু ঠান্ডা লাগলেই গলা ব্যাথা বা টনসিলের ব্যাথা? যার হয় এর কষ্ট আসলে সেই বোঝে! কিন্তু তাই বলে এই রোগকে হেলা ফেলা করার কোন কারন নেই কারন একটু অসাবধানতাই সর্বনাশ ডেকে আনতে যথেষ্ট। আজ জেনে নিন গলা ব্যাথা হলে কি কি করনীয়।
টুকটাক গলাব্যাথা ছোট রোগ, তাই বলে সেটা নিয়ে দীর্ঘদিন বসে থাকবেন না। তাহলে আখেরে আপনাকেই ভুগতে হবে সবচেয়ে বেশি।
এই তো গেলো করনীয়, এখন দেখে নিন গলা ব্যাথা হলে তা সারাতে কিছু ঘরোয়া টোটকা
গার্গলঃ গবেষণায় পরিলক্ষিত যে, কুসুম গরম পানিতে সামান্য লবন মিশিয়ে গার্গল করা, শুধুমাত্র গলার জীবাণুকেই ধ্বংস করে না, প্রদাহ ও ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে। তাই এক কাপ হালকা গরম পানিতে আধা চা চামচ লবন মিশিয়ে দিনে দুই তিন বার গার্গল করা প্রয়োজন।
তরল খাবারঃ হাঁচি, কাশি ও গলার ভিতর প্রচুর তরন নিঃসরণের জন্য শরীর অনেকটাই পানিশুন্য হয়ে পরে। তাই প্রচুর পানি ও তরল খাবার খেতে হবে। তবে অবশ্যই ঠাণ্ডা পানি বর্জন করা প্রয়োজন। গলা ব্যাথায় ধোঁয়া উঠা গরম সূপ দারুণ কাজে দেয়।
লজেন্সঃ মেনথল, ইউক্যালিপটাস বা ফেনলসমৃদ্ধ কিছু লজেন্স আছে, যা চুষার ফলে গলা ব্যাথা ও প্রদাহ কমে যায়। এগুলো মূলত ক্লোরোসেপটিক অর্থাৎ গলায় একটা আরামদায়ক অনুভূতি এনে দেওয়ার পাশাপাশি জীবাণুনাশক হিসেবেও কাজ করে৷
চাঃ গলা ব্যাথায় দিনে দুই তিনবার গরম চা আমাদের অনেকটাই আরাম দিতে পারে। সেক্ষেত্রে গ্রিন টি বা হারবাল চা অনেক বেশী কার্যকর। চাইলে চায়ের মধ্যে লেবুর রস বা লবঙ্গজাতীয় জিনিস যোগ করুন, যা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করবে৷
বিশ্রামঃ যেকোনো অসুখে প্রজাপ্ত বিশ্রাম গ্রহন করলেই দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠা যায়। তাই কাজ থেকে ছুটি নিন, অবকাশ যাপন করুন, দেখবেন খুব দ্রুত আপনার গলা ব্যাথা সেরে যাবে।
ওষুধঃ গলা ব্যাথায় প্যারাসিটামল বা বেদনানাশক ওষুধই যথেষ্ট। তবে ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে গলায় স্ট্রেপটোকক্কাস সংক্রমণ হয়ে থাকতে পারে৷ সে ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক লাগতে পারে৷ তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন৷