হয়তো অনেকেই আর্টিকেলের শিরোনাম দেখে অবাক হচ্ছেন, ভাবছেন রান্না ঘরের মিষ্টি কুমড়াকে নিয়ে আবার রূপচর্চায় টানাটানি কেন? কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা সাধারণ এই মিষ্টি কুমড়ার আমাদের ত্বকের জন্য অসাধারণ গুণের কথা। মিষ্টি কুমড়া প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ ও সি, অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি এমনকি ন্যাচারাল ইউভি প্রটেক্টরে পরিপূর্ণ যা আপনার ত্বকের জন্য আদর্শ স্কিন কেয়ার উপাদান হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। তাই আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি আজ থেকে আপনি যখনই রান্নার জন্য বাজার থেকে মিষ্টি কুমড়া আনবেন সেখান থেকে অবশ্যই খানিকটা অংশ নিজের ত্বকের কেয়ার নেওয়ার জন্য আলাদা করে রাখবেন।
আসুন ত্বকের যত্নে মিষ্টি কুমড়ার কিছু ঘরোয়া স্কিন কেয়ার রেসিপির সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেই।
কয়েক চামচ সিদ্ধ করে চটকানো মিষ্টি কুমড়ার সাথে ২ টেবিল চামচ মিষ্টি স্বাদহীন দই(unsweetened yogurt) ও ১ টেবিল চামচ ওটস গুঁড়া নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে মিহি পেস্ট রেডি করুন। এবার এই স্ক্রাব আপনার মুখের ত্বকে হাতের আঙ্গুলের সাহায্যে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন। এই স্ক্রাব আপনার ত্বকের ডেডসেল লুজ করবে এবং ত্বকের মুখ ধোয়ার সাথে সাথে এইসব ডেডসেল ত্বক থেকে তুলে ফেলে আপনার ত্বক করবে ফ্রেস আর দ্যুতিময়।
কয়েক চামচ মিষ্টি কুমড়া চটকানোর সাথে ১ ডিমের ফেটানো সাদা অংশ, ১ টেবিল চামচ দই ও ১ টেবিল চামচ মধু নিয়ে থকথকে করে মিশিয়ে আপনার মুখের চোখ আর ঠোঁটের অংশ বাদে সম্পূর্ণ ত্বকে মাস্ক আকারে লাগান এবং ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। আপনার ত্বকের আলগা হয়ে যাওয়া পোরস গুলোর যত্ন নেওয়া ছাড়া ও এই মাস্কের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বকের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করবে।
১৪ কাপ মিষ্টি কুমড়ার সাথে একটা ডিমের সম্পূর্ণ অংশটা নিন, ১ থেকে ২ টেবিল চামচ মধু নিন আর সাথে কিছু পরিমাণ অ্যাপেল সিডার মিশিয়ে সব উপাদান একসাথে ভালোভাবে পেস্ট করুন। এই পেস্ট আপনার মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই মাস্ক আপনার ত্বকের ফ্যাকাসে বা মলিন ভাব দূর করবে, ত্বকের ময়েশ্চারাইজার স্তর সঠিক রাখবে এবং ত্বক করবে আরও ব্রাইট আর স্মুথ।
২ টেবিল চামচ মিষ্টি কুমড়া নিন, আধা টেবিল চামচ মধু, আধা টেবিল চামচ দুধ ও আধা টেবিল চামচ দারুচিনি নিন (যদি আপনার ত্বক হয় সেনসিটিভ তাহলে দারুচিনি অ্যাভোয়েড করুন)। এবার সব উপাদান একসাথে মিশিয়ে আপনার ত্বকে লাগান এবং ১০ মিনিট অপেক্ষা করে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফলাফলের জন্য এটি আপনার গোসলের পর ইউজ করুন যখন আপনার ত্বক নরম থাকে। এটি আপনার ত্বকের তরতাজা আর মশ্চারাইজ ভাব দীর্ঘ সময় ধরে রাখবে।