বছর জুড়ে টুকটাক পাওয়া গেলেও এখন চলছে পেয়ারার ভরা মৌসুম। নানা স্বাদে নানা আকারের ডাসা পেয়ারা গুলো দৃষ্টি আকর্ষণ করে সহজেই। বাজারে পাওয়া যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা নানা স্বাদের নানা জাতের পেয়ারা।
পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এই পেয়ারা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। লবণ মরিচের গুঁড়ায় টুকরো পেয়ারার স্বাদ জিভে জল এনে দেয় সহজে। সেই পেয়ারা প্রতিদিন আপনার নাস্তার টেবিলে হাজির হতে পারে ভিন্ন রূপে। রুটি বা পাউরুটির সঙ্গে কমলা বা আম এর জেলির বদলে খেতে পারেন পেয়ারার সুস্বাদু জেলি। নিজ হাতে তৈরি হওয়ায় পেয়ারার জেলি হতে পারে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
তাই আসুন ঝটপট শিখে নেয়া যাক বিডি রমণীর পেয়ারার জেলি তৈরির সহজ রেসিপি। এর আগে আপনারা দেখেছেন কমলার স্বাদে ছানামুখী লাড্ডু।
যা যা লাগবে
পেয়ারা দুই কেজি,
চিনি আধা কেজি,
লেবুর রস ২
টেবিল চামচ,
পানি প্রয়োজনমতো।
যেভাবে করবেন
প্রথমে পেয়ারা ধুয়ে ছোট্ট টুকরো করে কেটে নিতে হবে। এবার পরিষ্কার পাত্রে দুই মগ পানি দিয়ে ভালো করে সেদ্ধ করে নিতে হবে। সেদ্ধ হয়ে গেলে ছাকনি দিয়ে ছেকে শুধু পেয়ারা সেদ্ধ পানি নিতে হবে। এরপর কড়াইতে সেদ্ধ পেয়ারার রস জ্বাল দিতে হবে। পানি অর্ধেক হয়ে আসলে স্বাদ অনুযায়ী চিনি দিয়ে নাড়তে হবে।
রস একটু ঘন হয়ে আসলে লেবুর রস দিয়ে দিতে হবে। খুব ভাল করে নাড়তে হবে। জেলি হয়ে গেছে কিনা সেটা দেখার জন্য একটি প্লেটে এক ফোঁটা দিয়ে দেখতে হবে জমে যায় কিনা। যদি পানির মত থেকে যায় তাহলে আরও জ্বাল দিতে হবে।
কেউ চাইলে ফুড গ্রেড রঙ ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে জাফরান সবচেয়ে নিরাপদ। জেলি প্রায় ঠাণ্ডা হয়ে এলে কাঁচের পরিষ্কার পাত্রে জেলি সংরক্ষণ করতে পারেন। কেউ আবার পছন্দের আকৃতির পাত্রে রেখে জেলির আকার দিতে পারেন।
এই জেলি ফ্রিজে কয়েক মাস রেখেও খেতে পারবেন। কোনো রকম সাইট্রিক এসিড ছাড়াই এটা ভালো থাকবে।