আপনি আছেন » প্রচ্ছদ » খবর

ত্বকের তৈলাক্তভাব কমাতে ঘরোয়া টোনার!

যারা মোটামুটি ত্বক চর্চা করেন, তাঁরা সকলেই একথা এক বাক্যে স্বীকার করবেন যে ত্বকের যত্নের মূল পদ্ধতিই হল ক্লিঞ্জিং, এরপর টোনিং এবং ময়েশ্চারাইজিং। তবে অনেকেই আছেন যারা ক্লিনজিং এবং ময়েশ্চারাইজিং-এর ব্যবহার জানলেও টোনারের ব্যবহার সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল নন। কারন অনেকের ধারণা, ক্লিনজিং মিল্ক বা ক্লিনজিং ক্রিম ব্যবহার করলেই ত্বকের সমস্ত নোংরা বের হয়ে যায়। আদতে তা সত্যি নয়। ক্লিনজিং-এর মাধ্যমে আমাদের ত্বকের সমস্ত ধুলো ময়লা পরিষ্কার হয় না। আর সেগুলি পরিষ্কার করতে আমাদের টোনারের সাহায্য নিতে হয়। বিশেষ করে যাদের তৈলাক্ত ত্বক, তাঁদের ক্ষেত্রে প্রতিদিন ত্বক পরিষ্কার করা খুবই জরুরি। কারণ তৈলাক্ত ত্বকে সবথেকে বেশি নোংরা জমা হয়, যা থেকে পরবর্তি সময় নানবিধ ত্বকের সমস্যার সৃষ্টি হয়। টোনার ব্যবহার করার ফলে ত্বকের রোমকূপগুলো উন্মুক্ত হয়ে যায় এবং এর ফলে রোমকূপের ভিতরে আটকে থাকা ময়লা সহজে বেড়িয়ে যেতে পারে। টোনার ব্যবহার করার ফলে ত্বকের উপরিভাগে সুরক্ষা কবচ তৈরি হয় এবং টোনিং-এর পর সঠিক ক্রিম ব্যবহার করলে ত্বক মোলায়েম হয়। তবে টোনার ব্যবহার করা মানেই বাজার চলতি ক্ষতিকারক কেমিক্যাল মেশানো টোনার কিনতে হবে, এমন নয় কিন্তু! তাই বাড়িতেই কীভাবে টোনার বানাবেন, তারই হদিশ দেবে আজ বোল্ড স্কাই। এই প্রতিবেদনে আমরা বেশ কিছু ঘরোয়া টোনারের কথা জানাবো, যা তৈলাক্ত ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।

১. আপেল সিডার ভিনিগার এক চা চামচ আপেল সিডার ভিনিগার মেশান এক কাপ জলে। এবার একটি তুলোর টুকরো ওই জলে ডুবিয়ে মুখে ভালো করে লাগিয়ে নিন। এটি প্রতিদিন ব্যবহার করা যেতেই পারে। তৈলাক্ত ত্বকের চিকিৎসায় এই মিশ্রনটি খুবই ভাল একটি ঘরোয়া টোনার।

২. পুদিনা পাতা একটি পাত্রে ছয় কাপ জল ঢেলে ফুটে উঠতে দিন। এবার সেই জলের মধ্যে বেশ কয়েকটি পুদিনা পাতা ফেলে দিন। কিছু সময় পরে গ্যাসটা বন্ধ করে এই পুদিনা জলটি ঠাণ্ডা হতে দিন। তারপর তুলোর বল এই মিশ্রনে ডুবিয়ে ভালো করে মুখ পরিষ্কার করে নিন।

৩. লেবুর রস এবং পুদিনা পাতা এই টোনারটি তৈরি করতে প্রয়োজন পরবে এক চামচ লেবুর রস, একটি পিপারমিন্ট টি ব্যাগ এবং এক কাপ গরম জলের। প্রথমে গরম জলের ভিতরে পিপারমিন্ট টি ব্যাগটি কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর পিপারমিন্ট মিশ্রিত গরমজলের ভিতর এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। জলটা ঠাণ্ডা হয়ে গেলেই ভাল করে সারা মুখে লাগিয়ে ফেলুন।

৪. অ্যালোভেরা একটা অ্যালোভেরার টুকরো নিন। সেই টুকরোটি থেকে এবার একটি চামচের সাহায্যে জেল জাতীয় পদার্থটিকে বার করে এক কাপ জলের সঙ্গে ভাল করে মিশিয়ে নিন। যখন দেখবেন জেলটা ঠিক মতো জলে মিশে গেছে, তখন একটি তুলোর টুকরোর মাধ্যমে সারা মুখে ভালো করে সেই মিশ্রনটি লাগিয়ে ফেলুন।

৫. শসা একটা শসা নিয়ে সেটিকে পাতলা করে কেটে নিন। এবার শশার এই টুকরোগুলোকে অল্প জলে ৮ মিনিট মতো ফুটিয়ে নিন। জল অল্প ফুটতে শুরু করলেই গ্যাসটা বন্ধ করে দিন। এরপর জলটা ঠাণ্ডা হয়ে গেলে জল আর শসা একসঙ্গে বেঁটে নিন। এরপর জলটিকে ছেঁকে নিন।এই জলটিই হল আপনার টোনার। এবার তুলোর সাহায্যে সারা মুখে ভালো করে মেখে নিতে হবে।

৬. কর্পূর এবং গোলাপ জল এক চিমটে কর্পূর, গোলাপ জলের সঙ্গে মেশান। এই মিশ্রণটি প্রতিদিন জল দিয়ে মুখ ধোয়ার পর ব্যবহার করুন। এটি সবথেকে সস্তা এবং উপকারী একটি টোনার।

৭. বরফ জল অল্প করে তুলো বরফ জলের মধ্যে ডুবিয়ে তা দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। অথবা একটি বরফের টুকরো নিয়ে সারা মুখে ঘষে নিতে পারেন। এটি তৈলাক্ত ত্বকের জন্য খুবই ভাল একটি ঘরোয়া টোনার।