আপনি আছেন » প্রচ্ছদ » খবর

ত্বক ও চুলের যত্নে কেন ব্যবহার করবেন ডিম?

হেলদি ডায়েট-এ পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ ডিমের ভূমিকা যেমন অতি গুরুত্ত্বপূর্ণ তেমনি আমাদের ত্বক আর চুলের ঝলমলে হেলদি ভাব রক্ষায়ও। কিন্তু ডিমের নানান ব্যবহার আছে যা একটু আধটু ঠিকঠাকভাবে অনুসরণ করলেই স্কিনের আর চুলের প্রায় সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। রাফ, ফ্রিজি, পাতলা হয়ে যাওয়া, গোড়া নরম চুলের সমস্যা থেকেও যেমন মুক্ত থাকা যায় তেমনি মুখের ত্বকের দাগছোপ, ঝুলে পড়া স্কিন, ওপেন পোরস, ডালনেস ইত্যাদি থেকেও স্কিন থাকবে শত হাত দূরে যদি আপনি ডিমকে বানান আপনার স্কিন কেয়ার বন্ধু। ভাবছেন কীভাবে কি করবেন তাই তো? খুব সোজা কিন্তু!

শুধুই ডিমের প্যাক:

প্রথমেইএকটা ডিম নিয়ে এর কুসুমটি আলাদা করে ফেলুন। এইবার ডিমের সাদা অংশটাকে একটা বাটিতে নিয়ে কাটা চামচ দিয়ে ভালো করে ফেটান। যখন ডিম ফোম’এর মতো হয়ে যাবে তখন ফোমটুকু ভালো মতো পুরা মুখে অ্যাপ্লাই করুন। মনে রাখবেন, অ্যাপ্লাই করার আগে মুখ আর হাত ভালো করে ধুয়ে নিবেন। এবার ১৫ মিনিট পর যখন দেখবেন স্কিন টানটান লাগছে তখন কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলবেন। এই প্যাক স্কিন টানটান করবে। মুখের ওপেন পোরস দূর করবে খুব ভালো করে।

 

ডিমের পিল অফ মাস্ক:

ডিম আর টিস্যু পেপার দিয়ে খুব ভালো পিল অফ মাস্ক বানানো যায় যেটা স্কিনের মরা চামড়া এর সাথে সাথে ব্লাকহেডস আর হোয়াইটহেডস ও দূর করে কার্যকরভাবে। ২ টি ডিমের সাদা অংশ নিয়ে ফেটান ভালো মতন। এবার এই ফেটানো ডিম হাত বা ব্রাশের সাহায্যে মুখে এক পরত করে লাগান। এবার ফেসিয়াল টিস্যু নিয়ে মুখে লাগানো ডিমের ওপর চেপে চেপে লাগান। লাগানো হয়ে গেলে এর ওপর আরেক পরত ফেটানো ডিম লাগান। যখন শুকিয়ে আসবে মুখ টানটান হয়ে আসবে তখন পিল অফ মাস্ক এর মতন টান দিয়ে দিয়ে টিস্যু তুলে ফেলুন।খুব সিম্পল।

ডিম আর অ্যাভোকাডোর প্যাক:

 অ্যাভোকাডো ভিটামিন সমৃদ্ধ ফল। স্কিনের আর চুলের হেলদি গ্লো আনতে এর জুড়ি নেই। দুইটা ডিমের কুসুম নিয়ে এর সাথে একটা অ্যাভোকাডোর অর্ধেকটা নিয়ে ভালো করে মিক্স করুন। এবার এর সাথে মিশান এক চামচ মধু। এই প্যাকটা মাথায় লাগিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা। এটি চুলে ডিপ কন্ডিশনিং এর কাজ দিবে। চুল ঝলমলে মসৃণ হবে, রাফনেস চলে যাবে, পাতলা চুল ঘন হবে।

ডিম আর টকদই প্যাক:

ডিমের কুসুমের সাথে টকদই মিক্স করে এর সাথে এক চা চামচ মধু (ইচ্ছা) মিশিয়ে চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত লাগান। আধা ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। ড্রাই এবং ড্যামেজ চুল নিমেশে গায়েব হয়ে চুল হবে ময়েশ্চারাইজড আর কোমল।

ডিমের কুসুম ম্যাসাজ:

যদি বেশি কিছু করতে ইচ্ছে না করে সিম্পলি চুলের ঘনত্ব বুঝে ডিমের কুসুম নিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগিয়ে রাখুন। আধা ঘণ্টা পর পাবেন রেশমি উজ্জ্বল ঝরঝরে চুল।

ডিম আর লেবুর রস:

যদি চান একী সাথে স্কিন হবে উজ্জ্বল, মরা চামড়া মুক্ত এবং ওপেন পোরস মুক্ত তাহলে ডিমের সাদা অংশটুকু নিয়ে এর সাথে লেবুর রস মিশিয়ে ফেটিয়ে ফোম বানান। এরপর মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। যখনই স্কিনে টান অনুভব করবেন তখনই ধুয়ে ফেলুন। কিছুদিন করে দেখুন ম্যাজিকেরমতো স্কিনের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।