বাইরে কোথাও বেড়াতে যাচ্ছেন। এ সময় উৎফুল্ল হয়ে সুন্দর করে সাজতে আয়নার সামনে দাঁড়াতেই মনটা খারাপ হয়ে গেল! কারণ চোখের নিচে ও মুখে কালো ছোপ ছোপ দাগ। এখন সাজাসাজি বাদ দিয়ে কীভাবে এই কালো দাগগুলো দূর করবেন তা নিয়ে ভাবতে বসে গেলেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ত্বকে আঘাত লাগলে শরীরে নিজস্ব মেকানিকেরা ক্ষত সারিয়ে দেয়, কিন্তু দাগটা তো থেকেই যায়। ক্ষত বলতে শুধু গভীর আঘাতকেই বেঝায় না, ব্রণোর দাগ, পোকা কামড়ানোর বা পোড়া দাগ সবই কিন্তু মুখে নিজের উপস্থিতির ছাপ রেখে যায়। সব ক্ষেত্রেই যে দাগ এক ধরনের হবে, তা কিন্তু নয়। কী কারণে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে, তার ওপর নির্ভর করে দাগের ধরন। আর এক এক ধরনের দাগের জন্য রয়েছে এক এক রকমের চিকিৎসা। তাই আপনার দাগ কেমন, সেটা বুঝে নিয়ে যদি যথাযথ চিকিৎসা শুরু করতে পারেন, তাহলে হাতেনাতে ফল পাবেন খুব অল্প সময়েই। দেখে নিন কি কি উপায়ে-
লেবুর রস সরাসরি মুখের দাগযুক্ত অংশে লাগিয়ে নিন। 15-20 মিনিট পরে সাদা জলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। দিনে দু’বার এমনটা করুন। এক চা চামচ বিশুদ্ধ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে নিন এক চা চামচ পাতিলেবুর রস। এই মিশ্রণ মুখের কালো দাগের উপর আলতোভাবে লাগিয়ে নিন। 15-20 মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন মুখ। আরও ভাল হয়, যদি এক চা চামচ পাতিলেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন এক চা চামচ টম্যাটোর রস। সেই মিশ্রণে এক চা চামচ ওটমিলও (বাজারে মুদির দোকানে সহজেই কিনতে পাবেন) যদি যোগ করতে পারেন তবে আরও ভাল ফল মিলবে। মুখের দাগ ধরা অংশে এই মিশ্রণ লাগিয়ে মিনিট 15 পরে সাদা জলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। দিনে বার দু’য়েক এমনটা করুন। রাত্রে শুতে যাওয়ার আগে এই মিশ্রণ অবশ্যই একবার মুখে লাগাবেন। দাগ তুলতে ব্যবহার করুন টমেটো। টমেটোয় রয়েছে ব্লিচিং এজেন্ট, তাই এটি থেতো করে মুখে লাগালে দেখবেন দাগ কমে গেছে। এটি মুখে লাগিয়ে 20 মিনিট রেখে দিন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। তাহলে আর দেরি কীসের, আজই শুরু করুন এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনাহীন ঘরোয়া কৌশলের প্রয়োগ, আর বদলে ফেলুন নিজেকে।