ত্বকের যে সম্যসায় কম বেশী আমরা সবাই ভুক্তভোগি তা হল ব্রণ acne। নরমাল বা শুষ্ক ত্বকের চেয়ে তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণের সমস্যা বেশী দেখা যায়। সাধারণত ত্বকের তৈলগ্রন্থি বা ওয়েল গ্ল্যান্ড ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা আক্রান্ত হলে সৃষ্টি হয় ব্রণের। ত্বকের উজ্জ্বলতা, সৌন্দর্য নষ্ট করতে অনেকাংশেই দায়ী এই ব্রণ acne এবং তার কালো দাগ। এই ব্রণ থেকে মুক্তি এবং ব্রণের কালো দাগ দূর করার জন্য ব্যবহার করে থাকি নানা রকম কসমেটিক্স ও ঔষধ medicine। এর পরিবর্ততে ব্যবহার করতে পারেন কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি যা সহজেই আপনার ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্কয করবে। তাহলে জেনে নেওয়া যাক দ্রুত প্রাকৃতিকভাবে ব্রণ থেকে মুক্তি পাওয়ার সহজ় কিছু উপায়।
১। বরফ
ব্রণ থেকে মুক্তি পাওয়ার সবচেয়ে সহজলভ্য এবং কার্যকরী উপায় হল বরফ। এটি ব্রণের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। একটি বরফের ছোট টুকরো পরিষ্কার কাপড়ের মধ্যে নিয়ে এক মিনিটের জন্য ব্রণের মধ্যে রাখুন। এইভাবে বার বার করুন। এই পদ্ধতি ব্রণের লাল হওয়া ও ফোলাভাব কমাবে। গ্রীন টি এর ব্যাগ সহ বরফ বানিয়ে ত্বকে ব্যবহার করুন, ব্রন অনেকটাই কমে যাবে
২। লেবুর রস
লেবুর রস খুব দ্রুত ব্রণ শুকাতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে সাইট্রিক এসিড, যা প্রাকৃতিক অ্যান্টি অক্সিডেন্টের উৎস। এক টুকরো তুলোর মধ্যে লেবুর রস মিশিয়ে ব্রণে লাগান। এভাবে সারা রাত রাখুন। সকালে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে এই পদ্ধতিও বেশ কার্যকর।
৩।টুথপেষ্ট
টুথপেষ্ট নামটা শুনে কিছুটা অবাক হতে পারেন। কিন্তু দ্রুত ব্রণ দূর করতে টুথপেষ্টের জুড়ি নেই। রাতে ঘুমাতে যাবার আগে ব্রাশ করার সমইয় কিছুটা পেষ্ট ব্রণে লাগিয়ে নিন। সকালে ভালভাবে মুখ ধুয়ে ফেলুন এবং দেখুন ম্যাজিক। চাইলে দিনে দুইবার ব্যবহার করতে পারেন।
৪। রসুন
রসুনে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান; যা ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে কাজ দেয়। এক টুকরো রসুন থেতঁলে ব্রণের উপর আলতো করে ঘষুন। ৫ মিনিট অপেক্ষা করুন তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই কাজটি দিনে কয়েকবার করতে পারেন।
৫। মধু
মধু হল প্রাকৃতিক এন্টিবায়োটিক যা ব্রণ acne দ্রুত নিরাময় করে থাকে। এক টুকরো পরিষ্কার তুলায় মধু লাগিয়ে ব্রণে লাগান। আধা ঘণ্টার পর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। মধু এবং দারুচিনির পেষ্ট তৈরি করেও ব্রণ লাগাতে পারেন। সারা রাত রেখে সকালে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভালভবে মুখ ধুয়ে ফেলুন। তবে নিয়মিতি মধু ব্যবহারে ব্রণ একেবারেই সারবে কি না, সেটা নিয়ে গবেষকরা এখনো দ্বন্দ্বে রয়েছেন। তাঁদের পরামর্শ, চেষ্টা করুন অপ্রক্রিয়াজাত বা টাটকা মধু ব্যবহার করতে।
৬। বেকিং সোডা
বেকিং সোডা অতিরিক্ত তেল শুষে নেয় ময়লা এবং মৃত কোষগুলো দূর করে থাকে। ১ টেবিল চামচ বেকিং সোডা ও সামান্য পানি বা লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করে ব্রণে লাগান। শুকানোর জন্য কয়েক মিনিট অপেক্ষা করুন। কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই কাজটি দিনে দু থেকে তিনবার করতে পারেন। তবে মনে রাখবেন বেকিং সোডা খুব বেশি সময় ত্বকে পর্যন্ত রাখা যাবে না।
৭। পেঁপে
পেঁপে ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে খুব ভাল প্রতিষেধক। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন এ এবং এনজাইম আছে যা ব্রণ দূর করে ত্বককে নরম ও মসৃণ করে থাকে। কাঁচা পেঁপে রস করে সেটি ব্রণে লাগান। শুকানোর জন্য ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আপনি চাইলে পুরো মুখের জন্য ব্যবহার করতে পারেন পেঁপের প্যাক।
২ টেবিল চা চামচ পেঁপের পেষ্ট
১ চা চামচ মধু
পেঁপের পেষ্ট এবং মধু দিয়ে ম্যাস্ক তৈরি করুন। মাস্কটি মুখে আর ঘাড়ে ভালভাবা লাগান। শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভাল ভাবে ধুয়ে ফেলুন।