প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের কাছে পরাজিত হয়ে চারদিক থেকে দারুণ সমালোচনার মুখে পড়া অস্ট্রেলিয়া চট্টগ্রামে সোমবার শুরু হওয়া সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ জিতে হৃত গৌরব কিছুটা হলেও ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবে। সিরিজের উদ্বোধনী ঢাকা টেস্টে ২০ রানে পরাজিত হয় সফরকারী অস্ট্রেলিয়া এবং নিজ দলের খেলোয়ারদের পারফরমেন্স সমালোচিত হচ্ছে বলে স্বীকার করেন কোচ ড্যারেন লেহম্যান। লেহম্যান সাংবাদিকদের বলেন, ‘সমালোচনায় ছেলেরা ব্যথিত।’ ‘তবে আপনি যখন জিতবেন না তখন সমালোচনা হবেই। কোন দলের কাছে একটি টেস্ট হারলে সমালোচনাটাই যথেষ্ট নয়। তবে বাংলাদেশ নিজ মাঠে খুবই কঠিন প্রতিপক্ষ।’ চট্টগ্রামে অস্ট্রেলিয়া দলের অন্তত কিছু স্মরণীয় স্মৃতি রয়েছে। যে কারণে এ ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতা আনতে চায় দলটি। সর্বশেষ ২০০৬ সালে বাংলাদেশ সফরে এই চট্টগ্রামেই নাইটওয়াচম্যান জেসন গিলেস্পির ডাবল সেঞ্চুরির সুবাদে অস্ট্রেলিয়া ইনিংস ও ৮০ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছিল বাংলাদেশকে। তবে বাংলাদেশ এখন অনেক বেশি শক্তিশালী প্রতিপক্ষ এবং স্বাগতিক দলের স্পিনারদের মোকাবেলা করাটা হবে অস্ট্রেলিযার জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ।
ঢাকা টেস্টে ২০ উইকেটের মধ্যে ১৯টিই শিকার করেছে স্পিনাররা এবং জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের পিচও স্পিন সহায়ক হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইনজুরিতে পড়া পেসার জস হ্যাজেলউডের জায়গায় অস্ট্রেলিয়া পুনরায় দলে ডেকেছে বাঁ-হাতি স্পিনার স্টিভ ও’কেফিকে। দলের অপর দুই ফ্রন্ট লাইন স্পিনার নাথান লিঁও এবং এ্যাস্টন আগারের সাথে এ ম্যাচে তাকেও খেলাতে পারে সফরকারীরা। এ মাঠে গতবছর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টেও বলতে গেলে জয়ের কাছাকাছি ছিলো বাংলাদেশ। ম্যাচের পঞ্চম দিনে দ্ইু উইকেট হাতে নিয়ে জয় থেকে ৩৩ রান দূরে ছিলো বাংলাদেশ। বেন স্টোকসের শেষ দুই উইকেট শিকারের মাধ্যমে ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতা এনেছিল ইংল্যান্ড।