কথা বলার অভ্যাসে গড়ে ওঠে সত্য বা মিথ্যার ব্যাবহার। অনেকেই মিথ্যাকে খুব বেশিই এড়িয়ে চলেন। আবার অনেকে কারনে-অকারনে বলে চলেছেন হাজারো মিথ্যা কথা। এক জরিপে দেখা যায় বাংলাদেশের মেয়েদের চেয়ে পুরুষের মাঝে মিথ্যা বলার প্রবণতা বেশি। এর পেছনে কিছু কারণ সক্রিয় ভূমিকা পালন করে থাকে। যেমন-
বিরোধিতা এড়াতে
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মেয়েদের তুলনায় কর্মক্ষেত্রে পুরুষের পদচারণা বেশি। তাই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুক্ষিন হতে হয়। অনেক সময় সত্য কথা বললে পরিবার, সমাজ, অফিস কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বড় ধরণের কোনো সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিংবা একে অপরের সঙ্গে বড় ধরণের ভুল বোঝাবোঝির সৃষ্টি হতে পারে। এধরনের সমস্যা এড়াতে পুরুষরা অনেক সময় মিথ্যা কথা বলে থাকেন।
পছন্দের মানুষটিকে পটানো
কোনো মানুষই পরিপূর্ণ নন। কিন্তু এমন অনেক পুরুষ আছেন যারা নিজেকে পরিপূর্ণ হিসেবে তুলে ধরতে খুব স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। নিজের যোগ্যতা, চাকরি, সামাজিক অবস্থান, এ পর্যন্ত তার অর্জন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বাড়িয়ে বলেন। উদ্দেশ্য একটাই পছন্দের মানুষটির মন জয় করা।
ভালোবাসার মানুষকে কষ্ট না দেয়া
অনেক সময় দেখা যায় সত্য কথা বললে প্রিয় মানুষটি কষ্ট পেতে পারেন এবং তার প্রতি খারাপ ধারণা পোষণ করতে পারেন। সেসব কথা ভেবে নারীকে মিথ্যা সান্ত্বনা দেন।
অহংকার বোধ
অহংকার বজায় রাখতে অনেক পুরুষ মিথ্যা কথা বলে থাকেন। নিজের ছোট খাট ভুল গুলোকে অস্বীকার করে এড়াতে চান ছোট্ট অপমান হওয়াকে। পুরুষের মাঝে আত্ম-অহমিকা একটু বেশি থাকায় মিথ্যা বলার ভুলটি করে বসেন নিজের অজান্তেই।
নারীকে অবিশ্বাস করার কারণে
অধিকাংশ পুরুষ মনে করেন নারীরা বলে এক, করে আরেক। নারীকে সত্য কথা বললে তার পরিকল্পনা অপরকে জানিয়ে দিতে পারে। সেই ভয়ে মিথ্যা বলেন। কিছু কিছু পুরুষ আছেন যারা কিনা নারীকে অবমূল্যায়ন করেও মিথ্যা বলেন। ভাবেন তার দুর্বলতা নারী জানতে পারলে পরবর্তীতে খোটা দিতে পারে। তাই খোটাকে এড়াতেও নারীর কাছে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে থাকেন।