সত্যি, একেই বোধ হয় বলে সীমাহীন কিপটেমি! খরচ কমানোর জন্য শেষে কিনা বিমান থেকে সিট তুলে দেওয়ার ভাবনা?
ভেবে দেখুন, আপনি ওলা-উবেরের খরচে বিমানে কলকাতা থেকে বাগডোগরা পৌঁছে গেলেন। অথবা, আরেকটু বেশি টাকা দিয়ে নয়াদিল্লি বা মুম্বই! না, এদেশের কোনও বিমানসংস্থা এমন অফার না দিলেও, কলম্বিয়ার এক বাজেট এয়ারলাইন্স কিন্তু এমনটাই ভেবে ফেলেছে। সাধারণ মানুষ নয়, অতি সাধারণ মানুষকে বিমানে চড়ার সুযোগ করে দিতেই নাকি এমন পরিকল্পনা। যদিও নিন্দুকেরা বলছেন, খরচ কমানো ছাড়া এই ভাবনা আর কিচ্ছু হতে পারে না।
আসল বিষয়টা কী? খোলসা করে বলা যাক।
কলম্বিয়ার বাজেট এয়ারলাইন ভিভা কলম্বিয়ার সিইও উইলিয়ম শ’-এর দাবি, ‘‘বিমানেও দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে যাতায়াত করা যায় কিনা, তা নিয়ে বহু দিন ধরেই গবেষণা শুরু হয়েছে। এই ভাবনা নতুন নয়। আমরা চাই মানুষ স্বল্প খরচে বিমানে যাতায়াতের সুযোগ পাক। এক ঘণ্টার যাতায়াতে বিনোদন, নরম গদির সিট বা ফ্রি বাদাম না পেলে খুব একটা অখুশি হওয়ার কথা নয়।’’
২০১০-এও নাকি এই বিমানসংস্থা বার স্টুলের মতো সিট তৈরির পরিকল্পনা করেছিল। বেল্ট দিয়ে বেঁধে অনায়াসেই যাত্রীদের যাতায়াত করানো যাবে বলে ভাবনা ছিল তাদের। শেষ পর্যন্ত সেদেশের অসামরিক বিমান পরিবহণ সংস্থার অনুমতি না পেয়েই এই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।
তবে এবারের পরিকল্পনা কিন্তু এখনও কোনও বাধা পায়নি। তবে কি এবার শুধু বাস্তবায়িত হওয়ার অপেক্ষা? ভেবে দেখুন, বিমানে কোনও সিট নেই। রড ধরে, দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই যাত্রীরা বিমানে যাতায়াত করছেন। ভিভা কলম্বিয়া নামে এই বাজেট এয়ারলাইন্স সংস্থার কোনও কর্তা কি কখনও কলকাতা-মুম্বইয়ের লোকাল ট্রেনে উঠে পড়েছিলেন? তাঁদের এমন পরিকল্পনা শুনে সত্যিই এ প্রশ্ন কিন্তু মনে জাগতেই পারে।
খবর আনন্দবাজার