রোজার নিয়ত
(নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম মিন শাহরি রমাজানাল মুবারাকি ফারদাল্লাকা, ইয়া আল্লাহু ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম।)
অর্থ: হে আল্লাহ! আগামীকাল পবিত্র রমযান মাসে তোমার পক্ষ হতে ফরয করা রোজা রাখার নিয়ত করলাম, অতএব তুমি আমার পক্ষ হতে কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।
রোজা ভঙের কারণ
১. ইচ্ছাকৃত পানাহার করলে।
২. স্ত্রী সহবাস করলে।
৩. কুলি করার সময় হলকুমের নিচে পানি চলে গেলে (অবশ্য রোজার কথা স্মরণ না থাকলে রোজা ভাঙবে না)।
৪. ইচ্ছাকৃত মুখভরে বমি করলে।
৫. নস্যি গ্রহণ করলে, নাকে বা কানে ওষুধ বা তেল প্রবেশ করালে।
৬. জবরদস্তি করে কেউ রোজা ভাঙালে।
৭. ইনজেকশান বা স্যালাইনের মাধ্যমে দেহে ওষুধ পৌঁছালে।
৮. কংকর, পাথর বা ফলের বিচি গিলে ফেললে।
৯. সূর্যাস্ত হয়েছে মনে করে ইফতার করার পর সূর্যাস্ত হয়নি দেখা গেলে।
১০. পুরা রমজান মাস রোজার নিয়ত না করলে।
১১. দাঁত থেকে মটর দানা পরিমান খাদ্যদ্রব্য বের করে গিলে ফেললে।
১২. ধূমপান, ইচ্ছাকৃত লোবান বা আগরবাতি জ্বালিয়ে ধোঁয়া গ্রহণ করলে।
১৩. মুখ ভর্তি বমি গিলে ফেললে।
১৪. রাত আছে মনে করে সুবহে সাদিকের পর পানাহার করলে।
১৫. মুখে পান রেখে ঘুমিয়ে পড়ে সুবহে সাদিকের পর জাগরিত হলে।
রোজার মাকরুহ
১. অনাবশ্যক কোনো জিনিস চিবানো বা চেটে দেখা।
২. কোনো দ্রব্য মুখে দিয়ে রাখা।
৩. গড়গড়া করা বা নাকের ভেতর পানি টেনে নেয়া। কিন্তু পানি যদি নাক দিয়ে গলায় পৌঁছে যায়, তাহলে রোজা ভেঙে যাবে।
৪. ইচ্ছাকৃত মুখে থুথু জমা করে গিলে খেলে।
৫. গীবত, গালা-গালি ও ঝগড়া-ফ্যাসাদ করা।
৬. সাড়া দিন নাপাক অবস্থায় থাকা।
৭. অস্থিরতা ও কাতরতা প্রকাশ করা।
৮. কয়লা চিবিয়ে অথবা পাউডার, পেস্ট ও মাজন ইত্যাদি দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করা।
ইফতারের দোয়া
(আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিযক্বিকা ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমীন।)
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিযিক দ্বারা ইফতার করছি।