সকালে উঠে চুল আঁচড়াতে গেলেন। চিরুনিতে একরাশ চুলের জটলা দেখে আঁতকে উঠলেন। সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে অনেক দৌড়ান পার্লারে। কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ চুলের পেছনে। বাড়তি টাকা খরচ না করে ঘরোয়া চিকিৎসাতেই চুলপড়া রোধ করা সম্ভব।
গরম তেলের চিকিৎসা : এটা মূলত হট অয়েল ট্রিটমেন্ট নামেই প্রচলিত। অলিভ, নারিকেল বা ক্যানোলা তেল (বীজ জাতীয় উপাদান দিয়ে তৈরি) নিয়ে কিছুটা গরম করুন। মনে রাখবেন তেল উষ্ণ হতে হবে, খুব বেশি গরম নয়। এবার খুব ধীরে, যত্ন ও সময় নিয়ে মাথার তালুতে চুলের গোড়ালিগুলোয় ম্যাসাজ করুন। তারপর একঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
প্রকৃতির রস: আপনার মাথার তালুতে লাগাতে পারেন পিয়াজ, রসুন অথবা আদার রস। লাগিয়ে ম্যাসাজ করে ঘুমিয়ে পড়ুন। সকালে উঠে ধুয়ে ফেলুন। চুল হবে মজবুত।
মাথা ম্যাসাজ: আপনার চুল ঝরা রক্ষায় মাথায় ম্যাসেজে করলে বেশ উপকার পাবেন। তবে এটা হতে হবে নিয়মিত। প্রতিদিনকার এই ম্যাসাজ আপনার রক্তচলাচল বৃদ্ধি করবে। আর মাথার তালুতে রক্ত চলাচল বৃদ্ধির ফলে আপনার চুলের ফলিকলগুলো কাজ করবে নতুনভাবে। আমন্ড অথবা যে কোন তেল দিয়ে ম্যাসাজ করার সময় তেলে কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার দিতে পারেন।
অ্যান্টি অক্সিডেন্ট: গরম গ্রিন টি লাগাতে পারেন মাথার তালুতে। এককাপ পানিতে দু’ই-ব্যাগ গ্রিন টি হালকা গরম করে নিন। তারপর এই মিশ্রণটি মাথার তালুতে ম্যাসাজ করে ঘণ্টাখানেক রেখে দেন। এরপর মাথা ধুয়ে ফেলুন। গ্রিন টি-তে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে যা চুল পড়া রোধের পাশাপাশি নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
মেডিটেশন: এক সমীক্ষায় দেখা গেছে চুল পড়ার অন্যতম কারণ দুঃশ্চিন্তা, মানসিক অবসাদ, চাপ, বিষণ্নতা প্রভৃতি। আমাদের নিত্যদিনকার নাগরিক জীবনে এগুলোর উপস্থিতি সর্বদা। তাই মেডিটেশনের ফলে এসব দুঃশ্চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসা সহজ হয়। হরমনাল ব্যালেন্সও রক্ষা হয়।