পেটের বাড়তি মেদ কমাতে আমরা সবাই কোনো না কোনো সময় ব্যবস্থা নিয়েছি। কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায় যে, আমরা আমাদের ব্যস্ততা কিংবা অলসতার কারণে প্রায়ই ব্যায়ামাগারে নিয়ম করে যেতে পারেনি। আবার সঠিকভাবে ডায়েটিং ঠিক রাখাও সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তবে আমরা একটু সচেতন হলেই দেহের এই বাড়তি চর্বি কমিয়ে আনতে পারি। মাত্র ৭ দিনের মাথায় পেটের মেদ নিয়ন্ত্রণের কিছু উপায়ের কথা আজকের এই প্রতিবেদনে আমাদের পাঠকদের জানানো হল-
১। সার্কিট ট্রেনিং-
পেশি গঠন ও পেট কমানোর জন্য সার্কিট ট্রেনিং নিতে হবে। এই ট্রেনিং সপ্তাহে তিন দিন গ্রহণ করতে হবে। লাংস, পুশ-আপ এবং পুল-আপ ইত্যাদি ব্যায়াম করতে হবে এক একটি সেট করে। প্রতি সেটে ১৫ বার করে কাজগুলো সম্পন্ন করতে হবে। প্রতি ব্যায়ামের মাঝে ১ মিনিট করে দড়ি লাফের মতো ওয়ার্ম আপ করতে ভুলবেন না। এভাবে প্রতি সেশনে ৫০০-৬০০ ক্যালোরি বের করে দিতে পারেন।
২। পেটের পেশির ব্যায়াম-
পেট খুব দ্রুত চর্বিপূর্ণ হয়ে ওঠে। তাই পেটের জন্য বিশেষ ব্যায়াম করতে হয়। প্রতি সপ্তাহে তিন বার করে এই ব্যায়াম করতে হবে। তিন সেটে ক্রাঞ্চ এবং লেগ রেইজ করুন। প্রতিবার ২০ বার করে কাজটি করতে হবে। প্লাঙ্ক করুন দেহকে পুশ-আপ ভঙ্গীতে রেখে। কনুইয়ে ভর করে ৩০-৬০ সেকেন্ড থাকতে হবে চারটি সেটে।
৩। খাবারে সাবধান-
খাবার বুঝেশুনে খেতে হবে। ফল, সবজি, শস্যদানাপূর্ণ খাবার খান। স্বাস্থ্যকর খাবার এড়িয়ে গেলে হবে না। পাস্তা, মুরগি, গরু এবং মাছ খেতে হবে যথেষ্ট।খুব বেশি পরিমাণে লবণ খাবেন না। এর পরিবর্তে অন্যান্য মসলা ও হার্বালের আশ্রয় নিন।
৫। পানি পান-
পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খেতে হবে। দেহের বিষাক্ত উপাদান বের করে দিলে যথেষ্ট পরিমাণ পানি খেতে হবে। এ ছাড়াও পানি আপনাকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। তার মানে এই নয় যে, প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। প্রতিদিন ৮ গ্লাস পানি খাওয়াই যথেষ্ট।
৬। অ্যালকোহল থেকে দূরে-
এটা থেকে দূরে থাকতে হবে। অ্যালকোহল পেটের আকার বৃদ্ধি করে।
৭। মানসিক চাপ দূর করুন-
ব্যায়ামে এমনিতেই মানসিক চাপ দূর হয়। দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ দেহে বিভিন্ন ধরনের বিশেষ কিছু হরমোনের ক্ষরণ ঘটে। এগুলো পেট বাড়িয়ে দেয়। তাই মানসিপ চাপকে বিদায় দিন।