আপনি আছেন » প্রচ্ছদ » খবর

টিভি চ্যানেল-সারা পৃথিবীতে কয়েকটি জনপ্রিয় মাধ্যমে


গ্রাহকরা পেয়ে থাকে। আর এগুলো হল: DTH,ক্যাবল টিভি
(CATV),IPTV,DVB-T. আজ এ পদ্ধতি গুলোর সুবিধা ও অসুবিধা তুলে ধরবো - DTH : সারা পৃথিবীতে জনপ্রিয়। নিচে এর সুবিধা উল্লেখ
করছি - 1- 500-1000 চ্যানেল দেখা সম্ভব।
2- SD,HD,4K,3D সার্ভিস দেওয়া সম্ভব।
3- ছবি ও শব্দ অসাধারণ।
4- ছোট ডিসে সিগন্যাল পাওয়া যায়।
5- কোন বিল বকেয়া থাকার সম্ভাবনা নেই। নিচে DTH এর অসুবিধা উল্লেখ করছি - 1- ঝড়,বৃষ্টি, মেঘ কুয়াশায় সিগন্যাল বন্ধ হয়ে যায়।
2- গ্রাহকদের ডিস মাঝেমধ্যেই সমস্যা করে।
3- তুলনামূলক মাসিক বিল বেশী।
4- গ্রাহকদের সেট টপ বক্স দিতে হয়।
5- ডিস সেট করতে টেকনিশিয়ান দরকার হয়।
************************************ IPTV: উন্নত দেশে বেশী জনপ্রিয়। নিচে এর সুবিধা উল্লেখ
করা হল - 1- একই সংযোগে ইনটারনেট ও টিভি দেখা সম্ভব।
2- কয়েক হাজারেরও বেশী চ্যানেল দেখা সম্ভব।
3- ছবি ও শব্দ ভাল।
4- বিল বকেয়া থাকে না। নিচে IPTV অসুবিধা উল্লেখ করা- 1- যত বেশি পরিস্কার ছবি দেখতে চাইবেন তত বেশী বিট
রেটের ইনটারনেট দরকার।
2- HD,4K,3D চ্যানেল দেখার জন্য অনেক বেশী ডাটা রেট
প্রয়োজন।
3- ইনটারনেট খরচ অত্যন্ত বেশী।
4- ইনটারনেট বিলের পরও IPTV pay box চ্যানেল বিল দেওয়া লাগতে পারে।
5- গ্রাহকদের সেট টপ বক্স দিতে হয়।
*********************************** ক্যাবল টিভি (CATV): এখনো বেশ কিছু দেশে জনপ্রিয়।
CATV এনালগ ও ডিজিটালে করা সম্ভব। নিচে এনালগ ও
ডিজিটালের সুবিধা উল্লেখ করা হল - 1- এনালগে একমাত্র সুবিধা সরাসরি টিভির মাধ্যমে
চ্যানেল রিসিভ করা যায়। চ্যানেল দেওয়া যায় সর্বোচ্চ
106 টি।
2- তবে ডিজিটালে 500+ চ্যানেল দেওয়া যায় এবং ছবি ও
শব্দ সুন্দর হয়। ডিজিটালে SD,HD,4K,3D চ্যানেল সাপোর্ট
করে। নিচে ক্যাবল টিভি (CATV) অসুবিধা উল্লেখ করা হল -
1- এনালগে কখনোই সব চ্যানেল পরিস্কার দেখা যায় না।
2- এনালগে ছবি ও শব্দ সমস্যা থাকে।
3- বেশী দূরের গ্রাহকদের চ্যানেল সবগুলো আসে না।
4- ক্যাবল ঝড়ে ছিড়ে যায়।
5- দুই এক বছর পর ক্যাবলের কোয়ালিটি নষ্ট হয়ে যায়। 6- ব্যবসায়ীক খরচ বেশি।
7- বেশী মেরামতের প্রয়োজন পরে।
8- বজ্রপাতে নোড ও ক্যাবল পূড়ে যায়।
9- এনালগে মাসিক বিল বকেয়া পরে থাকে।
10- এনালগে 100 চ্যানেল দিলেই ছবির কোয়ালিটি নষ্ট
হয়ে যায়। 11- ক্যাবল ও নোড চুরি হয়।
12- শত্রুতা করে ক্যাবল কেটে দেয়।
13- ব্যবসায়ীক অপচয় অত্যন্ত বেশী।
14- চুরি করে সংযোগ নেওয়া যায়।
************************************ DVB-T : বর্তমান বিশ্বে খুব বেশী জনপ্রিয়। নিচে এর
সুবিধা উল্লেখ করা হল - 1- বাংলাদেশে সর্বোচ্চ 300 চ্যানেল দেওয়া সম্ভব।
কিন্তু, অন্য সকল দেশে 600 চ্যানেলের Frequency বরাদ্দ
দেওয়া আছে। 2- SD,HD,4K,3D চ্যানেল সাপোর্ট করে।
3- ছবির কোয়ালিটি চমৎকার।
4- মাসিক বিল বকেয়া পরে থাকে না।
5- বিনা তারে সংযোগ দেওয়া যায়। 6- একই Antenna সিগন্যাল দিয়ে 20-30 টা টিভি
চালানো সম্ভব।
7- সাধারণ Antenna দিয়ে সিগন্যাল পাওয়া যায়।
8- ছোটখাটো যেকোন সমস্যার সমাধান গ্রাহকেরা নিজেরাই
করতে পারে।
9- ফিড সংযোগ দেওয়া যায়। 10- যেকোন স্থানে সহজেই সিগন্যাল রিসিভ করা যায়।
11- সোলার টিভিতে সংযোগ দেওয়া যায়।
12- চুরি করে সংযোগ নেওয়া সম্ভব না।
13- ক্যাবল না থাকায় সার্ভিস বিঘ্নিত হয় না।
14- বৃষ্টি ও মেঘে কোন সমস্যা হয় না। নিচে DVB-T এর অসুবিধা উল্লেখ করা হল - 1- প্রবল ঝড়ের সময়ে সিগন্যাল কমে যেতে পারে কিন্তু
বৃষ্টি, মেঘ বা অন্য কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগে সমস্যা হয় না।
2- গ্রাহকদের সেট টপ বক্স দিতে হয়।