আপনি আছেন » প্রচ্ছদ » খবর

বিপিএলে এ থাকছেন না আশরাফুল

স্পট ফিক্সিং এর দায় থেকে মুক্তি পেয়ে আবারো অান্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছেন মোহাম্মাদ আমের, মোহাম্মাদ আসিফ। এছাড়াও এ তালিকায় থাকা বিপিএলে অভিযুক্ত ড্যারেন স্মিথও রয়েছেন বিপিএলের তৃতীয় আসরের জন্য। নেই শুধু একজন। মোহাম্মাদ আশরাফুল। আরো প্রায় এক বছরের অপেক্ষা তার। আগামী আগস্টেই শেষ হয়ে যাচ্ছে মোহাম্মাদ আশরাফুলের শাস্তি। এরপর খেলতে পারবেন ঘরোয়া ক্রিকেটে।

প্রিমিয়ার ডিভিশন, বিপিএল বা এনসিএল। সব ধরনের ক্রিকেটেই ফেরায় আর কোনো বাধা থাকবে না। ২০১৩ এ অনুষ্ঠিত বিপিএলের দ্বিতীয় বা সর্বশেষ আসরে অনাকাঙ্খিত কিছু ঘটনায় নিষিদ্ধ হন এ তারকা ক্রিকেটার। নিষেধাজ্ঞার খড়গ মাথায় নিয়ে মোটেও ভেঙে পড়েননি জাতীয় দলের সাবেক এ অধিনায়ক। এ ব্যাপারে আশরাফুল জানান, গুলশান ইয়ুথ মাঠে সপ্তাহে চার দিন কঠোর অনুশীলন করছি। আমি আবারো ফিরতে চাই সব ধরনের ক্রিকেটে। গুলশান ইয়ুথ ক্লাবের কোচ ইমরান সরোয়ারের কাছে যাবতীয় বিষয়ে পরামর্শও করছেন, তার ক্যারিয়ারসহ সব কিছু ঠিক রাখতে। অনেকেই শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, মোহাম্মাদ আশরাফুল বোধ হয় শেষ হয়ে যাবেন। আশরাফুল নিজেই বললেন, এগুলো ভুল ধারণা।

আমি মাঠেই প্রমাণ দেয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছি। আবুধাবিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনেই সেঞ্চুরি করেছেন শোয়েব মালিক। ২৪৫ রান করেছেন তিনি শেষ পর্যন্ত। অথচ শোয়েবের ক্যারিয়ারের শেষ দেখেছিলেন অনেকেই। ওয়ানডেতেই চান্স হতো না। টেস্ট খেলা তো চিন্তাই করেনি অনেকে। দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর পর টেস্ট ম্যাচ খেলতে নেমে বাজিমাৎ করেন এ টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান। সর্বশেষ খেলেছিলেন তিনি ২০১০ এর আগস্টে বার্মিহামে এ ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই। এর পর থেকে দীর্ঘ বিরতি। মোহাম্মাদ আশরাফুল সে উদাহরণও টানলেন। প্রায় পাঁচ বছর পর টেস্টে ফিরে মালিককে যেন আরো পরিণত মনে হয়েছে। দলের প্রয়োজনে দুর্দান্ত খেলেছেন।

ইচ্ছা থাকলে এটা অসম্ভব না। আমি নিজেও ফিটনেসের দিকেও নজর রাখছি। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি অারো বলেন, স্বাভাবিক ম্যাচ না খেলতে পারলে কিছুটা দুর্বলতা চলে আসে। এ জন্য টুকটাক কিছু ম্যাচ আমি খেলছি বিভিন্নপর্যায়ে। আইসিসি ও বিসিবির অধীন নয় এমন সব ম্যাচগুলো খেলে নিজের অবস্থানের দিকে নজর রাখার চেষ্টা করি। তৃতীয় বিপিএলে শহীদ আফ্রিদি, ক্রিস গেইল, কুমার সাঙ্গাকারাসহ ১৯৫ বিদেশি ও ১২৩ জনের মতো স্থানীয় ক্রিকেটার রয়েছেন প্লেয়ার বাই চয়েসের জন্য। খেলতে না পারায় আক্ষেপ হয় কি না সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার শাস্তি শেষ হলে আমিও পরে হয়তো খেলতে পারব। এটুকু ধৈর্য ধারণ তো আমাকে করতেই হবে।

এ জন্য কোনো আক্ষেপ নেই বলেও জানান। তবে বিপিএল নিয়মিত হওয়া উচিত বলেই জানান তিনি। আশরাফুল বলেন, সামনেই টি-২০ বিশ্বকাপ। এ সময় তার প্রস্তুতির জন্য এটা অনেক উপকার দেবে। অনেকেই ঘরোয়া ক্রিকেটে স্লো খেলতেন। তারাও আক্রমণাত্মক খেলে নিজেদের স্টাইলে পরিবর্তন এনেছেন। আসলেই এ ফরম্যাটের ক্রিকেট খুবই প্রয়োজন।