হরমন জনিত কারনে, ঘুম কম হলে, পানি কম খেলে, বয়সের কারনে(১৫-২২/২৫) সাধারনত ব্রন হয়। ঘুম আর পানির কারনে হলে এই দুটো বেশি করে করলেই কমে যাবে। তবে হরমন জনিত হলে ডাক্তার দেখাতে হবে। আর বয়সের কারনে হলে নির্দিষ্ট বয়স পর চলে যাবে। কিন্তু কখনই নখ দিয়ে খোটা যাবেনা। তাহলে আরও বারবে আর দাগ পরবে।
মুখ পরিষ্কার করুন পন্ডস পিওর হোয়াইট কার্বনেটেড ফেসওয়াশ দিয়ে (দিনে ২-৩ বার), ব্রণের উপর লাগাতে পারেন মেডিপ্লাস মেডিকেটেড টুথপেস্ট বা পেপসোডেন্ট/কলগেট হার্বাল টুথপেস্ট, রাতে লাগিয়ে সকালে উথে ধুরে ফেলুন নরমাল পানি দিয়ে, ওষুধের মধ্যে ব্যবহার করতে পারেন এরিস্টোফার্মার ক্লিনেক্স প্লাস লোশন/স্কয়ারের ইরোমাইসিন লোশন এর সাথে রেটিন এ ক্রিম বা স্কয়ারের ফোনা ক্রিম অথবা ইন্সেপ্টার টাজোস্কিন (এটি ত্বক বেশি শুষ্ক করে দেয় কিন্তু ব্রণের উপর কার্যকর, মাঝে মাঝে মুখের চামড়া হালকা উঠে যেতে পারে্ অনেক ডাক্তার স্যালিসাইলিক এসিড বা এজেলিক এসিডের ওষুধ দিয়ে থাকেন, তবে তা সবার জন্য উপযোগী হয় না, এই জন্য নিউট্রিজেনা একনেওয়াশ বা একনে এইড বা ক্লিন ও ক্লিয়ারের একনে রেঞ্জ ব্যবহার না করাই ভাল কারণ এগুলোতে স্যালিসাইলিক এসিড আছে, মেডিকেটেড ফেশওয়াশ ব্যবহার করতে চাইলে ভারতের আল্ট্রাসিল ব্যবহার করে দেখতে পারেন, তবে পন্ডস কার্বোনেটেড ফেশওয়াশও ভাল কাজ দেয়।
অবশ্যই বাইরে গেলে সান্সক্রিন ব্যবহার করবেন, ভারতের বোররোপ্লাসের সান্সক্রিন ব্যবহার করতে পারেন (এটি তেমন তৈলাক্ত নয়), ওষুধ ব্যবহারের ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে গেলে জনসনস বেবি লোশন বা ডোভ হাইড্রেটিং লোশন মুখে দিতে পারেন, ভুলেও ত্বক ফর্সাকারী কোন ক্রিম মুখে দেবেন না, তাতে স্টেরয়েওডস থাকায় তা ব্রণের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে, মুখে ক্রিম লাগাতে চাইলে টি ট্রি ওয়েল বা অ্যালো ভেরা বা ল্যাভেন্ডার সমৃদ্ধ ক্রিম দেওয়াটাই ভাল, এছাড়াও সকালে চিরতার পানি ও রাতে ইসবগুলের ভূষি খাবেন, প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ ঘন্টা ঘুমাবেন, দুশ্চিন্তা দূরে সরিয়ে রাখবেন, দিনে ১২ গ্লাস পানি খেয়ে পেট পরিষ্কার রাখবেন, শাক-সবজি ও আঁশযুক্ত খাবার বেশি খাবেন, ক্ষতিকর চিনিযুক্ত খাবার যেমন সোডা পানীয় পরিহার করতে হবে, এর চেয়ে তাজা ফলের জুস খেতে পারেন, খাবার তালিকায় স্যূপ, টমেটো ও শশা রাখুন, ব্রণের জন্য অনেক হার্বাল ফেস প্যাক আছে, তবে ওগুলো আমার তেমন কাজে আসেনি, তবে শুনেছি দুধে হলুদের রস মিশিয়ে নিয়মিত খেলে তা ত্বক ভাল রাখে ও ব্রণ প্রতিহত করে, আর হ্যা সব সময় হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করবেন, মনে রাখবেন ব্রণ একটা বয়সে চলে যায়, তবে সেটি না গেলে তা নিয়মিত অভ্যাসের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে, ব্রণ হল ডায়াবেটিসের মত যার প্রকৃত কোন সমাধান নেই তবে তা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণযোগ্য!