আমাদের হাত ও পায়ের সৌন্দর্যের এক অন্যতম অংশ নখ। সুন্দর নখ হাতকে যেমন আকর্ষনীয় করে তেমনি পা’কে করে মনকাড়া। পরিচ্ছন্ন নখ শুধু হাত-পায়ের সৌন্দর্যই বৃদ্ধি করে না। একইসঙ্গে এটি ব্যক্তিত্বও তুলে ধরে। ঝাঁ তকতকে, ঝকঝকে, আকর্ষনীয়, সুন্দর নখ কার না পছন্দ।
নারীদের জন্য হাতের নখের সৌন্দর্য রক্ষা করা একটু কঠিন। নখ সুন্দর রাখতে পানির ব্যবহার যত কম করা যায় ততই ভাল। কিন্তু নারীদের প্রায় সব কাজেই পানির ছোঁয়া আছে। একটু ইচ্ছা এবং সচেতন থাকলেই সম্ভব নখের যত্ন নেওয়া। সময় কিংবা অর্থের কারণে যারা পার্লারে গিয়ে নখের পরিচর্চা করতে পারেন না তারা ঘরে বসেই নিতে পারেন যত্ন। তাই আসুন জেনে নেই নখের যত্নের কিছু করণীয়।
১. হলদে ভাব কমানোর সহজ উপায়: লেবুর রস নখের রং উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। একটি পাত্রে লেবুর রস নিয়ে কিছুক্ষণ নখ ভিজিয়ে রাখুন। এরপর ভালোভাবে হাত ধুয়ে ফেললেই নখের রং স্বাভাবিক হয়ে আসবে। এই পদ্ধতি বার বার অনুসরণ করলে নখের হলদেভাব কমে আসবে।
২. ময়লা দূর করতে করণীয়: কুসুম গরম পানিতে খানিকটা শ্যাম্পু ও লবণ মিশিয়ে নখ ভিজিয়ে রাখুন। এরপর একটি নরম ব্রাশ দিয়ে নখ এবং চারপাশ ঘষে নিন। এতে মৃত কোষ ও জমে থাকা ময়লা উঠে আসবে।
৩. ভাঙন বন্ধ করার উপায়: এজন্য সঠিকভাবে ফাইল করা জরুরি। প্রতিবার একইভাবে এবং একই দিকে নখ ফাইল করতে হবে। এক্ষেত্রে ধাতব ফাইলার এড়িয়ে চলাই ভালো। তাছাড়া গোসল বা হাত ভেজানোর পর নখ ফাইল করা উচিত নয়। কারণ এ সময় নখ নরম থাকে। রাতে ঘুমানোর আগে নখে পেট্রোলিয়াম জেলি এবং অলিভ অয়েল মালিশ করে নিলে নখ শক্ত হয়। যাদের নখ বেশি নরম তারা রাতে ঘুমানোর আগে পুরু করে পেট্রোলিয়াম জেলি মালিশ করে মোজা পরে ঘুমাতে পারেন। এতে নখ শক্ত হবে। এছাড়া নখ কখনও অতিরিক্ত বড় করা ঠিক নয়। এতে নখ ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
৪. নেইলপলিশ ব্যবহারে সর্তকতা: নেইলপলিশ দিয়ে নখ রাঙাতে পছন্দ করলেও কিছু দিনের বিরতিতে নেইলপলিশ লাগানো উচিত। এতে নখ শ্বাস নিতে পারে। তাই একবার নেইলপলিশ ওঠানোর অন্তত দুদিন পর আবার লাগাতে হবে। অবশ্যই ভালো মানের এবং ভালো ব্র্যান্ডের নেইলপলিশ বেছে নেওয়া উচিত। কারণ সস্তা নেইলপলিশে সিসা থাকে যা নখের জন্য ক্ষতিকর।
৫. পেডিকিউর ও ম্যানিকিওর: মাসে ৩/৪ বার নখের যত্নে পেডিকিউর,ম্যানিকিওর করা উচিত। পার্লারে গিয়ে পেডিকিউর করার সময় নাও হতে পারে। তবে এখন বাজারে বিভিন্ন সেট পাওয়া যায়, যা ব্যবহার করে ঘরেই হাত ও নখের যত্ন নেওয়া সম্ভব।
৬. ভেতরের যত্ন: শুধু বাইরের যত্ন নয়, ভেতর থেকে যত্ন নিতে ভিটামিন বি, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও আয়রনযুক্ত খাবার খান। কারণ পুষ্টির অভাবেও নখ ভেঙে যায়।