ব্রাজিলের নাগরিক আলফ্রেদো মোসার সর্ব প্রথম বাতিল বাতি তৈরি করেন। এই বাতি তৈরি করা খুবই সহজ। খরচও কম। রক্ষণাবেক্ষণের জটিলতা নেই। দীর্ঘদিন একনাগাড়ে আলো পাওয়া যাবে। এটি থেকে ৫০ থেকে ৬০ ওয়াটের বৈদ্যুৎতিক বাতির মত আলো পাওয়া যাবে। তবে শুধুমাত্র দিনের বেলায়ই এই বাতি জ্বালানো যাবে। গ্রাম-গঞ্জের বাড়িতে টিনের চালে এই বাতি বসানো যাবে।
✿ ২ লিটার পানির খালি বোতল ১টি
✿ পরিষ্কার পানি
✿ ১ বর্গফুট টিন
✿ ক্লোরিন (সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট)
এসব উপাদান দিয়ে তরল মিশ্রণ তৈরি করে বোতলে ভরে ঘরের চালের টিন কেটে লাগিয়ে দিলেই হলো। বোতল বাতি থেকে দিনের বেলা প্রায় ৬০ ওয়াটের বাতির সমান আলো পাওয়া যায়। এই বাতি ব্যবহারে প্রতি মাসে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়। বোতল বাতিতে বৈদ্যুতিক বাতির মত কার্বণ নিঃসরণ হয় না। বোতল বাতি তৈরির জন্য উপকরণ বাবদ ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা লাগে। ৪ থেকে ৫ বছর বোতল বাতি নিরবিচ্ছিন্ন আলো দেয়।
বাংলাদেশে বোতল বাতি তৈরি করছে লাইট হাউজ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন। চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার রোসাংগিরি ইউনিয়নের শীলের হাট বাজার এলাকায় সংগঠনটির প্রকল্প চলছে। প্রতিষ্ঠানটির কাছে এই বাতি তৈরি এবং উপকরণ পাওয়া যাবে।