সাইবেরিয়ার সাখা প্রজাতন্ত্রে প্রাচীন বরফস্তরের নিচে সন্ধান মিলেছিল ৩৫ লাখ বছরের পুরনো ‘ব্যাসিলাস এফ’ ব্যাক্টেরিয়ার। এই জীবাণু শরীরে নিয়ে নবজীবন পেলেন মস্কোর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিওক্রাইওলজি বিভাগের প্রধান বিজ্ঞানী আনাতোলি ব্রৌচকভ।
দুই বছরেরও আগে পরীক্ষামূলকভাবে নিজের শরীরে সেই ব্যাক্টেরিয়া ইনজেক্ট করেন তিনি। রক্তে এই প্রাচীন ব্যাক্টেরিয়া মেশার পর কী প্রতিক্রিয়া হয়, তা দেখতেই এই পরীক্ষা।
অধ্যাপক ব্রৌচকভ জানান, লক্ষ লক্ষ বছর ধরে জীবিত এই ব্যাক্টেরিয়ার মধ্যে আয়ু বৃদ্ধি করার ক্ষমতা রয়েছে। পরীক্ষায় জানা গেছে, ব্যাসিলাস এফ ব্যাক্টেরিয়ার সাহায্যে বয়স্ক স্ত্রী ইঁদুর সন্তানধারণে সক্ষম হয়েছে। এমনকি এর সাহায্যে চরম শীতল আবহাওয়াতেও ফসল ফলানো সম্ভব হয়েছে।
২০০৯ সালে প্রত্যন্ত সাখা প্রজাতন্ত্রের ম্যামথ মাউন্টেনে তুষারস্তরের ভেতরে এই ব্যাক্টেরিয়া আবিষ্কার করেন ব্রৌচকভ। তার দাবি, শরীরে এই ব্যাক্টেরিয়া প্রবেশ করানোর পর গত দুই বছরে সর্দি-কাশিতে ভোগেননি। সেই সঙ্গে প্রতিদিন তার কাজের সময়ও দীর্ঘায়িত হয়েছে।
তবে কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে কি না তা পরীক্ষা সাপেক্ষ। ব্রৌচকভ জানিয়েছেন, বিস্তারিত জানতে বিশেষজ্ঞদের সাহায্যে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে পরীক্ষা করা জরুরি। পরীক্ষা সফল হলে ব্যাসিলাস এফ মানুষের আয়ু বৃদ্ধির অমোঘ দাওয়াই হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন তিনি।