ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন,‘দেশে অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থাসহ গণতন্ত্রেও জরুরি অবস্থা চলছে। প্রধানমন্ত্রীর অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।’ বৃহস্পতিবার রাজ্য সচিবালয় নবান্নে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি ওই মন্তব্য করেন।
নোট বাতিলের জেরে মানুষের দুর্ভোগের কথা তুলে ধরতে মমতা আজ প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘এই অর্থনৈতিক সঙ্কট মানুষের তৈরি, এর পিছনে গোপন উদ্দেশ্য রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারে একনায়কতন্ত্র চলছে। যা ইচ্ছে তাই করছেন মোদি। কারো সঙ্গে তিনি আলোচনার প্রয়োজন মনে করেন না। দেশবাসীকে একজন মানুষের হঠকারী সিদ্ধান্তের ফল ভোগ করতে হচ্ছে।’
নোট বাতিলের জেরে দেশের অর্থনীতি ৩ লাখ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়েছে এবং এরইমধ্যে দেশে ৫ কোটি মানুষ কাজ হারিয়েছেন বলে মমতা আজ দাবি জানান। বিভিন্ন সংস্থায় কর্মী ছাঁটাই শুরু হয়েছে বলেও মমতা উল্লেখ করেন।
মমতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার সম্পূর্ণ বেলাইন হয়ে পড়েছে, নরেন্দ্র মোদির প্রধানমন্ত্রী পদে থাকার কোনো নৈতিক অধিকার নেই।’
মমতা প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে বলেন, ‘উনি কোনো অর্থনীতিবিদের কথা শোনেন না, বিশেষজ্ঞদের মতামত নেন না, কাউকে বিশ্বাস করেন না, নিজের ইচ্ছায় হঠকারী সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।’
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ এভাবে প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করলেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ বলেছেন, ‘দুর্নীতি, কালো টাকা আর সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দেশের মানুষ যে আন্তরিকতা দেখিয়েছেন আমি তাকে আমি স্যালুট জানাই। ভাল কিছু পেতে গেলে কিছু দিন কিছু কষ্ট করতে হয়।’
এর ফলে মানুষের যে অসুবিধা হবে তাও তিনি স্বীকার করেছেন। নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে কৃষক, ব্যবসায়ী এবং সাধারণ শ্রমিকরা উপকৃত হবেন বলে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন।