অষ্টম জাতীয় পে-স্কেলে ৫ শতাংশ সুদে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা গৃহনির্মাণ ঋণ পাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা। বর্তমানে এই ঋণ ১০ শতাংশ সুদে সর্বোচ্চ এক লাখ ২০ হাজার টাকা পান সরকারি চাকরিজীবীরা। ইতোমধ্যে এসব সুবিধা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। অর্থমন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে ফ্ল্যাট নির্মাণের ক্ষেত্রে দেয়া হবে বিশেষ রেয়াত সুবিধা। এছাড়া নতুন এ বেতন স্কেলে একজন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ৬০ থেকে ৮০ মাসের বেতনের সমান গৃহনির্মাণ ঋণ পাবেন। সেই হিসেবে বিভিন্ন গ্রেড অনুযায়ী ঋণের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারিত হবে।
এতে দেখা যায়, সর্বনিম্ন গ্রেডের (গ্রেড-২০) একজন কর্মচারী সর্বোচ্চ ১২ লাখ টাকা এবং গ্রেড-১-এর একজন কর্মকর্তা সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা ঋণ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। এছাড়া ২০ জনের একটি গ্রুপ করে জমি কেনার জন্যও ঋণ দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে অষ্টম জাতীয় পে-স্কেলে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, গৃহনির্মাণ ঋণ যাতে অন্য খাতে ব্যবহার না হয় সেজন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে। এই নীতিমালা প্রণয়নের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে। এ ব্যাপারে সম্প্রতি একটি প্রস্তাব গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে গৃহনির্মাণ ঋণের ব্যাখ্যায় পে-স্কেলে উল্লেখ করা হয়, সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সংখ্যা ১৫ লাখ হলেও এর মধ্যে আবাসন সুবিধা পাচ্ছে মাত্র ১০ থেকে ১২ ভাগ। এছাড়া স্থান ভেদে বাসা ভাড়ার হারের তারতম্য রয়েছে, যে কারণে চাকরিজীবীদের একটি বড় অংশকে সরকারি আবাসিক সুবিধা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
এছাড়া দেখা গেছে সর্বচ্চ শ্রেণি থেকে সর্বনিম্ন শ্রেণি পর্যন্ত সকল স্তরের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে কর্মচারীদের আবাসন সুবিধা খুব কম প্রদান করা হচ্ছে। এসব দিক বিবেচনা করে সরকার স্বল্প সুদে গৃহনির্মাণ ঋণ চালু ও ফ্ল্যাট নির্মাণে বিশেষ সুবিধা রাখা হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, মন্ত্রিপরিষদ সভায় নতুন বেতন স্কেল অনুমোদন দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে গৃহনির্মাণ ঋণ দেয়ার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।