হৃদরোগ :
সুস্থ হৃদয়ের জন্য মধু আর দারুচিনি গুঁড়োর একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এবার রোজ সকালে জ্যাম-জেলি বা মাখনের বদলে এই মিশ্রণটি পাউরুটিতে মাখিয়ে খান। এটা আপনার রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাবে আর হৃদরোগের সম্ভাবনা কমিয়ে দেবে।
বাত/আর্থারাইটিস :
এক গ্লাস গরম পানিতে দুই টেবিল চামচ মধু আর এক টেবিল চামচ দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এই পানি প্রতিদিন নিয়ম করে সকালে ঘুম থেকে উঠে আর রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পান করুন। আপনার যদি দীর্ঘমেয়াদি বাতের সমস্যা থাকে তবে তা ভালো করে দেবে এই জাদুকরি পানীয়। সেই সাথে এটা ক্যান্সার প্রতিরোধেও বেশ সহায়ক।
পিত্ত থলিতে সংক্রমণ :
অনেক সময় পিত্ত থলিতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ দেখা দেয়। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রতিদিন এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে দুই টেবিল চামচ দারুচিনির গুঁড়ো ও এক টেবিলচামচ মধু মিশিয়ে পান করুন।
কোলেস্টরল :
জানেন কি? বড় এক কাপ চায়ের সঙ্গে দুই টেবিল চামচ মধুর সঙ্গে তিন টেবিলচামচ দারুচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে পান করার দুই ঘণ্টার মধ্যেই আপনার রক্তে কোলেস্টরলের মাত্রা ১০ শতাংশ কমে যায়। তো নিয়মিত পান করতে শুরু করুন এই পানীয়টি।
ঠাণ্ডা :
হঠাৎ ঠাণ্ডা বা সর্দিতে আক্রান্ত হলে এক টেবিল চামচ মধু আর ১/৪ টেবিল চামচ দারুচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে পরপর তিন দিন খান। এটা আপনার ঠাণ্ডা সারাবে, সর্দি ভালো করে দেবে আর সাইনাসের সমস্যা কমিয়ে দেবে।
রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা :
নিয়মিত মধু আর দারুচিনির গুঁড়ো খেলে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। শরীরের ভেতরে অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলো বিভিন্ন রকমের ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধ করে আপনাকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।
ফ্লু :
মধুতে থাকা প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতা ফ্লুয়ের জন্য দায়ী ভাইরাসকে ধ্বংস করে এবং ফ্লু থেকে আপনাকে রক্ষা করে।
ওজন কমানো :
বাড়তি ওজন কমাতে চান? তাহলে দারুচিনি গুঁড়ো দিয়ে ফোটানো এক গ্লাস পানিতে মধু মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালিপেটে পান করুন।
নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ :
সারাদিন যদি তাজা নিঃশ্বাস নিতে চান তাহলে এক গ্লাস গরম পানিতে এক টেবিল চামচ মধু ও দারচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এরপর রোজ নিয়ম করে এই পানি দিয়ে কুলি করুন। সারাদিন নিঃশ্বাস থাকবে একদম তরতাজা।